অভিনব ভাবনা, চা পাতার ডাই দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাস্ক
চা পাতার ডাই দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মাস্ক। যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সিলন টি-এর প্রচারে।
কলম্বো : চায়ের চাহিদা গোটা বিশ্বেই রয়েছে। চা পাতা আবার সর্বত্র হয়না। দার্জিলিং টি যেমন জগৎবিখ্যাত, তেমনই অসমের চা। আবার ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের নীলগিরি পাহাড়ের চায়ের অন্য স্বাদ।
ভারতের প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কাতেও চা পাতা ভাল হয়। শ্রীলঙ্কার চা সিলন টি নামে বিখ্যাত। যার চাহিদাও বিশ্বজোড়া। ভারতের পাশাপাশি তাই বিশ্বের চায়ের বাজারে শ্রীলঙ্কার বেশ খ্যাতি রয়েছে তাদের সিলন টি-এর জোড়ে। এবার সেই সিলন টি-এর প্রচারে এক অভিনব উদ্যোগ নিল শ্রীলঙ্কান টি বোর্ড।
সিলন চায়ের ডাই দিয়ে তারা তৈরি করছে বিশেষ ধরনের মাস্ক। মাস্কগুলি ন্যাচারাল অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল। এছাড়া এগুলি ইকোফ্রেন্ডলি, বায়োডিগ্রেডেবল এবং ননটক্সিক।
অর্থাৎ এই মাস্ক বিষাক্ত কিছু নয়। আলাদা করে ফেলার দরকার নেই। এগুলি ব্যবহারের পর ফেলে দিলে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে পারবে। পরিবেশ বন্ধু একটা চরিত্র রয়েছে এই মাস্কগুলির। এগুলিতে সিলন চা পাতার একটা অতিরিক্ত ছোঁয়া রয়েছে।
এই মাস্কগুলি ৩০ বার পর্যন্ত কেচে পড়াও যাবে। ফলে মাস্ক পড়েই ফেলে দিতে হবে, এমনটা নয়। অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য।
আপাতত এই অতিমারি পরিস্থিতিতে মাস্ক গোটা বিশ্বের কাছেই একটা অপরিহার্য বস্তুতে রূপান্তরিত হয়েছে। করোনা থেকে বাঁচতে এর কোনও বিকল্প নেই। তাই এই পরিস্থিতিতে সিলন টি-এর প্রচারে মাস্ককেই বেছে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা টি বোর্ড। আর তার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে তাদের সিলন চায়ের ছোঁয়া। যা একে একদম আলাদা করে তুলেছে।
যেহেতু এই মাস্ক আপাতত প্রচারের কাজেই লাগাতে চাইছে শ্রীলঙ্কা টি বোর্ড তাই আপাতত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ৭৫টি শ্রীলঙ্কান মিশনের কাছে এই মাস্ক তারা পাঠিয়ে দিচ্ছে। তারা তা পৌঁছে দেবে ব্যবহারকারীদের হাতে।
এভাবেই সারা বিশ্বে একাধারে সিলন টি-এর প্রচারও হবে। আর অতিমারিতে একটা সামাজিক দায়িত্বও পূরণ করতে পারবে শ্রীলঙ্কান টি বোর্ড। যা তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রচার পেতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা