ডুবল ফেরি, ক্ষুব্ধ জনতার কোপে মন্ত্রীর বাড়ি
ফেরি দুর্ঘটনার জেরে মানুষের মৃত্যুর সব রোষ গিয়ে পড়ল এক মন্ত্রীর ওপর। তাঁর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
সমুদ্রের একটি ঢুকে আসা অংশের ওপর দিয়ে যাতায়াতের উপায় ছিল একটাই। ফেরিতে পারাপার করতে হত ২ দিকের ২ এলাকার বাসিন্দাদের। সেই ফেরি চলাচলের সময় ঘটে গেল দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল ৬ জনের।
সেই ক্ষোভ শেষমেশ গিয়ে পড়ল মন্ত্রীর বাড়িতে। সেইসঙ্গে পথ অবরোধও হয়। গ্রামবাসীরা টায়ারে আগুন লাগিয়ে পথ অবরোধ শুরু করেন।
গত এপ্রিল মাসে মন্ত্রী এমএস তৌফিক শিলান্যাস করেছিলেন একটি ব্রিজের। যেটি সমুদ্রের খাঁড়ির ওপর কিন্নিয়াতে নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৭ মাস কেটে গেলেও ব্রিজটির কাজ শুরু করা হয়নি। তার জেরেই ঘটে এই ভয়ংকর বিপত্তি।
১৯৭৬ সালে শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালির কিন্নিয়াতে সমুদ্রের খাঁড়ির ওপর যোগাযোগের সুবিধার জন্য নির্মিত হয়েছিল একটি ব্রিজ। ব্রিজটি কুরিনগানকেরনি ও কিন্নিয়ার মধ্যে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে। গত ৬ বছর ধরে ব্রিজটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। গত এপ্রিলে শিলান্যাস হলেও এখনও তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
ব্রিজ ভাঙার কারণে সাধারণ মানুষ পড়েন সমস্যার মধ্যে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই তাঁরা ফেরির মাধ্যমে পারাপার করতে শুরু করেন। আর এখানেই ঘটে বিপত্তি।
গত মঙ্গলবার একটি ফেরি উল্টে ডুবে যায় সমুদ্রের খাঁড়িতে। ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৪ জন স্কুল পড়ুয়া। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১ মহিলা ও তাঁর ৬ এবং ৮ বছরের ২ মেয়ে।
মৃত্যু না হলেও গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা কুরিনগানকেরনি গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। যার প্রকোপ গিয়ে পড়ে মন্ত্রী এমএস তৌফিকের বাড়িতে। শ্রীলঙ্কার সড়ক মন্ত্রী জনস্টন ফার্নান্ডো পুলিশের আইজিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা