দেশের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটলেন অনেকে
দেশের প্রেসিডেন্টের বাসভবন বলে কথা! কার্যতই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মোড়া জায়গা। সেখানে এখন দেশের আমজনতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সুইমিং পুলে সাঁতারও কাটছেন।

দেশের প্রেসিডেন্টের বাড়ি আর তাঁর বাড়ি রইল না। তা এখন দেশের আমজনতার বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সেখানে ঢুকে যেখানে সেখানে ঘুরছেন মানুষজন। কেউ কেউ প্রেসিডেন্টের সুইমিং পুলে চুটিয়ে সাঁতার কাটছেন। কেউ বাড়ির যা হাতের কাছে পাচ্ছেন তা নিয়ে ঘাঁটছেন বা নষ্ট করে দিচ্ছেন।
এঁদের থামাতে পুলিশ শূন্যে গুলিও চালায়। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের ভিড় যখন একটি লক্ষ্যে ছুটতে থাকে তখন পুলিশের গুলি নেহাতই মূল্য পায়না।
তাই বেশ কয়েকবার শূন্যে গুলি চালিয়েও ভিড়কে রুখতে না পেরে হাল ছেড়ে দেয় পুলিশও। আর তাছাড়া যে ভিড় প্রেসিডেন্টের বাড়িতে ঢুকে এভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে সে ভিড়ে খোদ শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর আধিকারিকরাও রয়েছেন।
আর্থিক দিক থেকে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কায় এখন সাধারণ মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। তাঁদের একটাই দাবি, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষকে এখনই গদি ছাড়তে হবে।
দেশের মানুষের এহেন বিক্ষোভের পরেও কিন্তু পদ ছাড়তে নারাজ রাজাপক্ষ। তাঁর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাঁকে সেনা ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে। এখন তাঁর বাসভবন সাধারণ মানুষের দখলে চলে গেছে।
এরমধ্যেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। তবে আঁচ শুধু সাধারণ মানুষের দিক থেকেই আসছে না, খোদ রাজাপক্ষের সরকারের ১৬ জন সাংসদ তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
এত কাণ্ডের পরও কিন্তু প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে নারাজ রাজাপক্ষ। এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার রাস্তা খোঁজা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা