পথকর না দিলে রাস্তা ছাড়ে না এই হাতি, কত কর আদায় করে রাজা
রাস্তায় টোল ট্যাক্স দেওয়াটার সঙ্গে অনেকেই অভ্যস্ত। সেখানে একজন মানুষ কর আদায় করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে এক হাতি সেই কাজ করে। তবে এটা নিতান্তই তার ব্যক্তিগত পথকর।
তাকে কর না দিয়ে ওই রাস্তায় যাতায়াত করা যাবেনা। এটা মোটামুটি সে পরিস্কার করে দিয়েছে ওই পথে যাতায়াতে ইচ্ছুক গাড়ির চালকদের। সে গাড়ি যাই হোক তার ট্যাক্স বা কর চাই। তবে এটা ভাবা ভুল হবে যে সে কর নিয়ে কোনও জোরজবরদস্তি করে।
বরং রাস্তার যে দিক থেকেই গাড়ি আসুক না কেন সে পথ আটকে দাঁড়ায়। তারপর অত্যন্ত অমায়িক ভাবে শুঁড় তুলে বুঝিয়ে দেয় তার কিছু খাবার চাই। এক্ষেত্রে কোনও দাপট সে দেখায় না। বরং আবেদনটাই তার শরীরী ভাষায় প্রকাশ পায়।
ভারতে নয়, শ্রীলঙ্কার বাট্টালা কাটারাগামা রোডে যাতায়াত মানে কিন্তু রাজা নামে ওই হাতিকে খাবার দিতে হবে এটা মাথায় রাখা। কমবেশি সে মানিয়ে নেয়। কিন্তু খাবারটা দিতে হবে।
রাজা যেখানে পথ আটকায় তার কিছুটা আগে এবং পিছনে রাস্তার ধারের স্টলগুলি জানে তাদের কাছ থেকে গাড়িচালকরা খাবার কিনবেন হাতির জন্য। সেজন্য তারাও কলা সহ অন্য হাতির পছন্দের খাবার দোকানে রাখে। বিক্রিও হয়। কারণ ওই পথে যাতায়াতকারী গাড়িরা জানে রাজাকে খাবার না দিলে গাড়ি এগোতে পারবে না কেউ।
রাজার এই কর আদায় নিয়ে কিন্তু কারও কোনও ক্ষোভ নেই। বরং রাজার অমায়িক ব্যবহারে খাবার চাওয়াটা পছন্দই করেন সকলে। রাজাও হয়তো জানে বেশি জোর করলে তাকে সরানোর ব্যবস্থা করতে মানুষ উঠেপড়ে লাগবে। তারপর তাকে ওই পথ থেকে সরিয়েই ছাড়বে।
তাই সবদিক সামলে সে তার দাপট বজায় রেখে চলেছে। রাজাকে এখন ওই পথে যাতায়াত করা গাড়ির চালকরা ঠিকই কিছু না কিছু খাবার দেন। রাজাও খুশি হয়ে পথ ছেড়ে দেয়। এভাবেই চলছে।
এদিকে রাজাকে দেখার জন্য এখন পর্যটকরাও হাজির হচ্ছেন। বিদেশি পর্যটকরা রাজার পথ আটকানো এবং খাবার পাওয়ার পরই রাস্তা ছাড়া দেখতে সেখানে হাজির হচ্ছেন। ইন্টারনেটে রাজার এই কর আদায়ের খবর কিন্তু রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে।