মৃতের সংখ্যা ১৯২। আর তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ৪৭০ জন আহত। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এলটিটিই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কায় কিন্তু অশান্তি তেমন ছিলনা। বরং ক্রমশ তাদের পর্যটন ও খনিজ পদার্থের সম্ভার নিয়ে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি নিজেকে একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল।
রাজনৈতিক একটা চাপানউতোর ছিল বটে। কিন্তু তা অনেক দেশেই থাকে। সেই সবুজে ভরা, মহাসাগরে ঘেরা ছবির মত সুন্দর দেশটা রবিবার সকালে রক্তাক্ত হল। বিস্ফোরণ, মৃত্যু, আর্তনাদ, হাহাকার, রক্তের স্রোত, পোড়া বারুদের গন্ধে বড় ভারী হয়ে উঠল আবহাওয়া।
রবিবার সকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী শহর কলোম্বোর ৩টি বিলাসবহুল হোটেল সহ ৩ জায়গার ৩টি চার্চে বিস্ফোরণ হয়। কাতাহেনা শহরের সেন্ট অ্যান্টনিজ চার্চ, কাতুয়াপিতিয়ার সেন্ট সেবাস্তিয়ান চার্চ এবং বাত্তিকালোয়ার জিয়ন চার্চে ভয়ংকর বিস্ফোরণ হয়। রবিবার সকালে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নিতে তখন ওই ৩টি চার্চেই খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের ভিড় জমেছিল।
গুড ফ্রাইডের পরের ইস্টার সানডেতে প্রার্থনায় অংশ নেন তাঁরা। আর ঠিক সেই সময়েই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ৩টি চার্চ ছাড়া কলোম্বোর সাঙ্গরি-লা, সিনামন গ্র্যান্ড ও কিংসবেরি ফাইভস্টার হোটেলে বিস্ফোরণ হয়।
দুপুর পর্যন্ত ১৯২ জনের বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কলোম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালে প্রচুর সংখ্যক আহত ভর্তি। সরকারের তরফে বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এদিকে এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শ্রীলঙ্কা জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়।
সরকারের তরফে এই অবস্থায় দেশবাসীকে শান্ত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁদের প্রয়োজন না পড়লে রাস্তায় বার হতেও নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে কারা এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটাল তা পরিস্কার নয়। এখনও কোনও সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা