শ্রীলঙ্কায় ঠিক কটা বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকার তো বটেই, সারা বিশ্ব যখন রবিবার সকালে চার্চ ও হোটেল মিলিয়ে ৬টি পরপর বিস্ফোরণের কড়া ভাষায় নিন্দা করছে, ঠিক তখনই দুপুরের দিকে ফের কাঁপল শ্রীলঙ্কা। এবার বিস্ফোরণ হয় কলোম্বোর দেহিওয়ালা এলাকায়। বিস্ফোরণে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের বাস এখানে। বিস্ফোরণের জেরে প্রাথমিক খবর অনুযায়ী এখানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় রবিবার সকালে বহু খ্রিস্টধর্মাবলম্বী মানুষ ইস্টার সানডে পালন করতে হাজির হয়েছিলেন চার্চগুলিতে। সেখানে বিস্ফোরণে পবিত্র চার্চগুলি মানুষের রক্তে ভেসে যায়। চারিদিকে শুধু মৃত্যু আর আর্তনাদ। রবিবার সকালে ৩টি চার্চ ও ৩টি হোটেলে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটে তাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে মৃত্যু। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলে গেছে মৃতের সংখ্যা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সহ অন্য বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তবে এখনও পরিস্কার নয় একাজ কারা করছে। কোনও সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। শ্রীলঙ্কা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। দুপুরের বিস্ফোরণের পর মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন বিস্ফোরণের শেষ কখন? নাকি এরপর তাঁদের এলাকায় বিস্ফোরণ হতে চলেছে? যদিও শ্রীলঙ্কার সরকার দেশ জুড়েই সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে না বার হওয়ারই পরামর্শ দিয়েছে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা