শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা রবিবার সকাল থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। রাত পর্যন্ত ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪৬৯। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা ঠিক কততে থামবে তা এখনও পরিস্কার নয়। রবিবার শ্রীলঙ্কার ৩টি চার্চ ও ৩টি হোটেলে সকালে পরপর বিস্ফোরণ হয়। দুপুরে ফের একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে ৩ জন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বহু দেশ থেকে পর্যটকরা সেখানে হাজির হন। সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। এদিনের বিস্ফোরণে ৩ ভারতীয় ছাড়াও ব্রিটেন, চিন, আমেরিকা, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল মিলিয়ে ২৭ জন বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির ওপর সকাল থেকেই নজর রেখেছিলেন। কলোম্বোর সরকারি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তিনি জানান, যে ৩ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের নাম লাকাশিনি, নারায়ণ চন্দ্রশেখর ও রমেশ।
ঘটনার জেরে শ্রীলঙ্কা সরকার দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করেছে। যেটুকু জানা যাচ্ছে যে বিস্ফোরণের পিছনে নাকি মানব বোমা ব্যবহার হয়েছে। এক সময়ে এলটিটিই শ্রীলঙ্কায় যে রক্তক্ষয়ী কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল তা গত ১০ বছর আগেই সমাপ্ত হয়েছে। কিন্তু এদিনের সন্ত্রাস কিন্তু সেই পুরনো দিনের কথাই মনে করাল। কিন্তু এখনও কোনও সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। শ্রীলঙ্কা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা