শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে-র সুন্দর সকালকে আতঙ্ক, আর্তনাদ, রক্তের স্রোত আর মৃত্যু মিছিলে ভরে দিয়েছিল পরপর ৬টি বিস্ফোরণ। ৩টি চার্চে ও ৩টি বিস্ফোরণ হোটেলে। দুপুরে ফের একটি বিস্ফোরণ হয়। শ্রীলঙ্কার সেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে রবিবার সারাদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। বিভিন্ন হাসপাতাল ভরে গিয়েছিল আহত রক্তাক্ত মানুষে। বিস্ফোরণে ব্যবহার হয় মানববোমা। অন্তত তেমনই জানাচ্ছে শ্রীলঙ্কা পুলিশ। ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জেরে মৃতের সংখ্যা সোমবার আরও বেড়েছে। দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯০ জন।
গত রবিবার বিস্ফোরণের পর এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিলেন। তিনিই পরে জানান, শ্রীলঙ্কার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৩ ভারতীয়েরও। এদিন কলোম্বোর ভারতীয় দূতাবাস আরও ২ জন ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। মৃতদের নাম কেজি হনুমান্থারাইয়াপ্পা ও এম রঙ্গাপ্পা।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী পরে জানান এঁরা দুজনেই তাঁর দলের সদস্য। জনতা দল সেকুলারের ৭ সদস্যের একটি দল কলোম্বো বেড়াতে গিয়েছিল। এই ২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু বাকি ৫ জনের কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি।
এই বিস্ফোরণ যে হতে পারে এমন খবর শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা দফতরের কাছে আগে ছিল বলেই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিংঘে। কিন্তু তাতে আমল দেওয়া হয়নি। এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা