একটা সুযোগ। সেই সুযোগের জন্য ‘কম্প্রোমাইজ’ করতে হয়েছে পরিচালক, প্রযোজকের সঙ্গে। তাঁদেরকে অনেকসময় পাঠাতে হয়েছে আপত্তিকর ছবি, ভিডিও। এখানেই থেমে থাকেনি রূপোলী পর্দায় মুখ দেখানোর লড়াই। অভিযোগ, অনেকসময় পরিচালক বা প্রযোজকের থেকে দাবি এসেছে আপত্তিকর অবস্থায় লাইভ ভিডিও করার। দিনের পর দিন একটু একটু করে এভাবে সম্মান হারাতে হারাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল তাঁর। সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় এবার অভিনব প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন দক্ষিণী অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি। কাস্টিং কাউচের বিরুদ্ধে এর আগে হলিউড বা বলিউডের একাধিক প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী মুখ খুলেছেন। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন শ্রী রেড্ডি। তবে তাঁর প্রতিবাদের ধরণ হুলস্থুলু ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে।
শনিবার সকালে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকার তেলেগু ফিল্ম চেম্বার অফ কমার্স দফতরের সামনে হাজির হন ৩৪ বছরের অভিনেত্রী শ্রী রেড্ডি। পরনে ছিল গোলাপি রঙের কামিজ আর সবুজ রঙের সালোয়ার প্যান্ট। হয়তো তাঁর এই প্রতিবাদের কথা জানা ছিল কিছু মিডিয়ারও। ফলে আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিল কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা, রিপোর্টার। তাঁদের সামনে দফতরের লনে আচমকাই পরনের পোশাক খুলে ফেলেন শ্রী। তারপর শরীরের উর্ধ্বাঙ্গের অন্তর্বাসও খুলে অনাবৃত অবস্থায় ধর্নায় বসে পড়েন তিনি। উর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে তাঁর এহেন প্রতিবাদের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়। অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও হাজির হয় সেখানে। পরে এক সাংবাদিকই ইন্টারভিউ চলাকালীন তাঁর গায়ে একটি ওড়না জড়িয়ে দেন।
অভিনেত্রীর দাবি, তেলেগু ফিল্ম জগতে স্থানীয় মেয়েদের থেকে অনেক বেশি সুযোগ পান মুম্বই ও অন্য রাজ্যের অভিনেত্রীরা। ফলে তাঁর মত নবাগতারা প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও সুযোগ পান না। শ্রীর এও দাবি, ছবিতে সুযোগ পেতে বারবার অসম্মানজনক পথে হাঁটতে হয়েছে তাঁকে। তারপরেও তেলেগু ফিল্ম চেম্বারের সদস্য হতে চেয়ে তাঁর আবেদন অনুমোদন পায়নি। অভিনেত্রীর সমস্ত অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন তেলেগু চলচ্চিত্র জগতের কর্মকর্তারা। পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।