গত রবিবার পুরো দিনটাই শ্রীদেবীর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তত্ত্ব সামনে আসছিল। গত সোমবার তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বার হওয়ার পর গেল বদলে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর স্বাস্থ্য মন্ত্রক রিপোর্টে জানায় বাথটবের জলে ডুবে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর শিকার হয়েছেন শ্রীদেবী। সেই রিপোর্টেও রয়েছে ‘ড্রাউনিং’ বানানে ভুল। আবার গালফ নিউজ দাবি করেছে রিপোর্টে নাকি রক্তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ তত্ত্ব মোটামুটি এখানে দাঁড়াচ্ছে যে, শ্রীদেবী মদ্যপান করে বাথরুমে স্নান করতে গেলেন। তাঁর পা টাল সামলাতে পারল না। আর তিনি পড়ে গেলেন বাথটবে। নিজকে আর ওঠাতে পারলেন না। সেখানেই জলে ডুবে মৃত্যু হল তাঁর। রিপোর্ট এতকথা না বললেও মোটামুটি এমনই একটা ছবি খাড়া হচ্ছে রিপোর্টের ভিত্তিতে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বাথটবে পড়ে মৃত্যুটা ঠিক মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।
কত মদ্যপান করেছিলেন যে বাথটবের সামান্য জলে ডুবে গেলেন শ্রীদেবী? ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির একজন মহিলা আচমকা দেড় ফুটের বাথটবে ডুবে গেলেন? এটাই হয়তো ঠিক মেনে নিতে পারছে না দুবাই পুলিশ। তারমধ্যে যুক্ত হয়েছে মদ্যপানের তত্ত্ব। যদি মদ্যপান করে থাকেন, তবে তা কতটা করেছিলেন? ঘর থেকে বাথরুম পর্যন্ত তাঁর পা টলল না, অথচ বাথটবে টাল সামলাতে পারলেন না! খবর এমনও যে বনি কাপুরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদে নাকি বক্তব্যে অসঙ্গতিও মিলেছে দুবাই পুলিশের। ফলে দেহ পরিজনদের হাতে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি ক্রমশ জটিলতায় জড়িয়ে পড়ছে। এখন আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখে তবেই দেহ পরিজনের হাতে তুলে দেবে পুলিশ। ফলে সময় লাগছে। প্রয়োজনে আরও পরীক্ষা হতে পারে।
ভারতীয় দূতাবাসও জানিয়েছে শ্রীদেবীর দেহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর লিগাল সেল ছাড়পত্র দেওয়ার আগে পর্যন্ত পরিবার হাতে পাবে না। ফলে মঙ্গলবারও কী ফিরবে দেহ? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।