মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ভিড় এড়িয়ে অন্য দরজা দিয়ে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শ্রীদেবীর কফিনবন্দি দেহ। ঘড়িতে তখন রাত ১০টা ৫। সামনের গেট দিয়েই বার হয়েছিল স্বামী বনি কাপুর সহ পরিবারের অন্যদের গাড়ি। পরে রাস্তায় কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গেই মিশে যায় সেসব গাড়ি। সেভাবেই বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। গ্রিন করিডর আগেই তৈরি করে রাখা ছিল। অ্যাম্বুলেন্স সহ পরিবারের লোকজনের গাড়িকে ঘিরে নিয়ে পুলিশ এগোয় গ্রিন করিডর ধরে। ফলে রাস্তায় কোথাও দাঁড়াতে হয়নি তাঁদের। ঠিক আধঘণ্টা পর ১০টা ৩৫ মিনিটে লোখান্ডওলায় শ্রীদেবীর বাংলো ‘ভাগ্য’-তে পৌঁছয় অ্যাম্বুলেন্স। সেখান তখন থিক থিক করছে সাধারণ মানুষের ভিড়। মিডিয়ার ভিড়। ছিল প্রচুর পুলিশ বন্দোবস্তও। পুলিশ এতটাই তৎপর ছিল যে ওই ভিড়েও অ্যাম্বুলেন্সকে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়নি। অ্যাম্বুলেন্স বাংলোয় ঢুকিয়ে নেওয়ার পর কিন্তু পরিবারের লোকজন ছাড়া কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বন্ধ কররে দেওয়া হয় সিংহদুয়ার। প্রচুর জিজ্ঞাসাবাদ করে তবেই ভিতরে ঢোকার ছাড়পত্র পেয়েছেন তাঁদের পরিবারের ঘনিষ্ঠরা।
মায়ের মৃত্যুর পর দুই মেয়ে খুশি ও জাহ্নবী অনিল কাপুরের বাড়িতেই থাকছিলেন। কিন্তু এদিন মায়ের দেহ ফিরছে বলে তাঁরা সন্ধের পর ভাগ্যতে চলে আসেন। এছাড়া সন্ধের পর থেকেই পরিবারের লোকজন, বন্ধুবান্ধব, ঘনিষ্ঠরা, এমনকি বলিউডের তারকারাও এখানে হাজির হন। অপেক্ষায় ছিলেন কখন শ্রীদেবীর দেহ আসবে। তাঁরা তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাবেন। এদিকে এদিন ভাগ্যর সামনে রাত যত বেড়েছে ভিড় তত বেড়েছে। একসময়ে অবস্থা সামলাতে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জও করতে হয়।