একটা গাড়ি। তার চারপাশ পাঁচিলের মত করে ঢাকা। সেখান থেকে ঝুলছে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা ফুলের মালা। এক অদ্ভুত শুভ্রতা কাজ করছে গোটা গাড়ি জুড়ে। সেই গাড়িতে শায়িত শ্রীদেবীর দেহ। সেই শায়িত শ্রীদেবীর ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি মিডিয়ার ক্যামেরাকে। গাড়ি দুপুর ২টোতে বার হয় লোখান্ডওয়ালা সেলিব্রেশন স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে। তার আগে সাড়ে ১২টায় বন্ধ করে দেওয়া হয় শ্রীদেবীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর্ব। পরের দেড় ঘণ্টা পরিবারের লোকজন শেষবারের মত একান্তে সময় কাটান শ্রীদেবীর সঙ্গে। মুম্বই পুলিশের তরফ থেকে দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। তিনি পদ্মশ্রী প্রাপ্ত। ফলে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া রীতি। তা পালনও করা হয় যথাযথভাবে।
এরপর দেহ নিয়ে সাদা ফুলে মোড়া গাড়ি রওনা দেয়। শ্রীদেবীকে শেষ যাত্রায় সাজানো হয়েছিল লাল শাড়িতে। একদম কনের সাজে। তার ওপর দিয়ে শরীর মুড়ে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় পতাকায়। গাড়িতে তাঁর মাথার কাছে ছিলেন স্বামী বনি কাপুর। ছিলেন অর্জুন কাপুর। পরিবারের অন্যরা। ৮ কিলোমিটারের রাস্তা। ভিলে পার্লের শ্মশানে পৌঁছনোর সেই যাত্রাপথের দুধারে থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। পুলিশি বন্দোবস্ত রয়েছে যথেষ্ট। গাড়ি এগোয়। পিছনে ছিল পরিবারের লোকজনের গাড়ি। শেষ যাত্রাতেও মানুষের ভালবাসা উজাড় হয়ে ঝড়ে পড়েছে। রাস্তার দুধারে নজর দিলেই তা পরিস্কার হয়ে যাচ্ছিল।