রানির মতই সেলুলয়েডের পর্দায় রাজ করেছিল তাঁর রূপগুণের সমানুপাত। এদিন শেষ বিদায়ের লগ্নেও লাল শাড়ি আর ভারী গয়নায় শুয়ে ছিলেন তিনি। ঠোঁটে টকটক করছে লাল লিপস্টিক, মাথায় লাল টিপ। ঠিক যেন নতুন বউ! সেই কনের সাজে সামান্য খোলা ঠোঁট। যেটুকু ফাঁক সাধারণ মানুষ গভীর ঘুমে থাকলে থাকে। ঠিক তেমন। শুয়েই তো ছিলেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল গভীর ঘুমে মগ্ন। এই ডাকলেই জেগে উঠবেন! রূপের ছ’টা ঠিকরে বার হচ্ছে সুন্দর গোল মুখটা দিয়ে। এদিন যাঁরাই তাঁকে এভাবে দেখলেন তাঁদেরই চোখ কিছুক্ষণের জন্য ভরে উঠেছে জলে। ঝাপসা হয়েছে দৃষ্টি। যাঁর অন্ত্যেষ্টির সময় নাকি অমিতাভ বচ্চনের মত মানুষও নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। সেই শ্রীদেবীর নশ্বর দেহ সেই কোন বিকেলেই পাড়ি দিয়েছে চাঁদের দেশে। ঘি-চন্দনের সুগন্ধি ধোঁয়ার কুণ্ডলী চেপে হারিয়ে গেছে পঞ্চভূতে। স্তিমিত হয়েছে সকাল থেকে তাঁকে ঘিরে উন্মাদনার পারদ।
তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া। তিনি চলে গেলেন চিরতরে। তবু কোথাও একটা খচখচানি রয়ে গেল। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মিললনা। তাঁর মৃত্যু ঘিরে প্রশ্নগুলো এখনও অলিতে গলিতে মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। কেউ মুখে বলছেন। কেউ মনের মধ্যে রেখে দিচ্ছেন। একদিন এ আলোচনাও থেমে যাবে। ঝাপসা হয়ে যাবে শ্রীদেবীর স্মৃতি। কিন্তু প্রশ্নগুলো? ওগুলো কিন্তু চিরকাল রয়ে যাবে গলায় বেঁধা কাঁটার মত। হয়তো উত্তরও থেকে যাবে অধরাই।