সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জটিল হচ্ছে শ্রীদেবীর দেহ দেশে ফেরানোর পদ্ধতি। উঠছে নানা প্রশ্ন। যত খবর সামনে আসছে ততই মানুষের মনে প্রশ্নের ভিড় জমছে। রবিবার সারাদিন সকলে জানতেন শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। সেই তত্ত্ব মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গেল অমূল বদলে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে বাথটবের জলে ডুবে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর শিকার হয়েছেন শ্রীদেবী। সেই রিপোর্টেও রয়েছে বানান ভুল। আবার গালফ নিউজ দাবি করেছে রিপোর্টে নাকি রক্তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ তত্ত্ব মোটামুটি এখানে দাঁড়াচ্ছে যে, শ্রীদেবী মদ্যপান করে বাথরুমে স্নান করতে গেলেন। তাঁর পা টাল সামলাতে পারল না। আর তিনি পড়ে গেলেন বাথটবে। নিজেকে আর ওঠাতে পারলেন না। সেখানেই জলে ডুবে মৃত্যু হল তাঁর। রিপোর্ট এতকথা না বললেও মোটামুটি এমনই একটা ছবি খাড়া হচ্ছে রিপোর্টের ভিত্তিতে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বাথটবে পড়ে মৃত্যুটা ঠিক মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। কত মদ্যপান করেছিলেন যে বাথটবের সামান্য জলে ডুবে গেলেন শ্রীদেবী? এখন তো এমন অবস্থা যে দুবাই পুলিশও তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে চাইছে বলে খবর। ফলে তারা মৃতদেহের ওপর আরও পরীক্ষা করতে পারে। আর তা হলে শ্রীদেবীর দেহ দেশে ফেরাতে আরও দেরি হবে। যদিও এখনও যা খবর তাতে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই শ্রীদেবীর দেহ দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।
সোমবার সারাদিন অধীর আগ্রহে সকলে অপেক্ষা করেছেন, কখন অনিল আম্বানির পাঠান চার্টার্ড বিমানে ফিরবে রূপ কি রানির নিথর দেহ। সেমত তোড়জোড়ও হয়ে গিয়েছিল। শ্রীদেবীর ইচ্ছা মেনে মৃত্যুর পর শেষকৃত্যের আগে সব কিছু সাদা রঙের জিনিসপত্রে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। একে একে দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত থেকে বলিউডের অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন অনিল কাপুরের বাড়িতে। শেষকৃত্যে থাকা ও শেষবারের মত শ্রীদেবীকে শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরাও। কিন্তু দেহ ফিরল কই? আইনি জটিলতায় সোমবার এই আসছে এই আসছে করেও রাত পর্যন্ত এল না দেহ। দুবাইও হুট করে দেহ ছেড়ে দিতে ছাইছে না। মৃত্যু সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হতে চাইছে তারা। ইতিমধ্যেই তদন্তের খাতিরে হোটেলের যে রুমে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয় সেই রুম সিল করে দেওয়া হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই রুমের আশপাশের নজরদারি সিসিটিভি ফুটেজও। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হোটেলের কর্মচারিদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বনি কাপুরকেও। সবমিলিয়ে যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন ঘনীভূত হচ্ছে রহস্যের মেঘ।