বিশ্বনাথন আনন্দের উত্থানে হাত ছিল এস পি-র, অনেকেই জানেননা সেকথা
প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দের উত্থানের পিছনে হাত ছিল প্রয়াত গায়ক এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যমের। অনেক কম মানুষেরই সেই অজানা কাহিনি সম্বন্ধে জানা আছে।
চেন্নাই : অজানা কাহিনিই বটে। বিশ্বনাথন আনন্দ ছিলেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু। উত্থানের পর জীবনটাই প্রায় কাটিয়েছেন স্পেনের মাদ্রিদে। আর তৈরি হওয়ার সময় বেশ কিছুটা সময় ফিলিপিন্সে। সেই মানুষটার উত্থানের পিছনেও ছিল সদ্য প্রয়াত বিখ্যাত গায়ক এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যমের কিছুটা হলেও সাহায্য। এস পি-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে সে কাহিনি নিজেই জানালেন বিশ্বনাথন আনন্দ।
সময়টা ১৯৮৩ সাল। ততদিনে এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যমের গায়ক হিসাবে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। এক দুজে কে লিয়ে সিনেমায় গান গেয়ে হিন্দি বলয়েও যথেষ্ট পরিচিতি পেয়েছে তাঁর কণ্ঠ।
সে সময় তখনকার মাদ্রাজে ছিল তামিলনাড়ু ডিসট্রিক্ট চেস অ্যাসোসিয়েশনের অফিস। যার সভাপতি ছিলেন বিখ্যাত তেলেগু কবি অনুরাধা।
সে সময় দাবার ন্যাশনাল টিম চ্যাম্পিয়নশিপ হচ্ছিল মুম্বইতে। আনন্দ সহ দাবাড়ুদের দল মাদ্রাজ কোল্টস-এর সেই চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু টাকা কই! ফলে দল যেতে পারবেনা এমনটাই স্থির হয়।
সেই অবস্থায় কবি অনুরাধা হাজির হন এস পি-র কাছে। তিনি সব কথা এস পি-কে খুলে বলেন। সব শোনার পর সময় নষ্ট না করে নিজেই একটি চেক লিখে দিয়েছিলেন এস পি। যাতে মাদ্রাজ কোল্টস-এর যাওয়া না আটকায়।
মাদ্রাজ কোল্টস এস পি-র অর্থ সাহায্যেই পৌঁছয় মুম্বইতে। ওই প্রতিযোগিতায় আনন্দ ব্রোঞ্জ পান। সুযোগ পান ন্যাশনাল বি খেলারও। সেই ন্যাশনাল বি থেকে ন্যাশনাল এ খেলার সুযোগ পান তিনি। তারপর ভিশিকে আর কখনও পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
অনেক দাবাড়ুই মনে করেন মুম্বই বা তখনকার বম্বেতে অনুষ্ঠিত সেই ন্যাশনাল টিম চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা আনন্দের জীবন বদলে দিয়েছিল।
আনন্দের ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কিন্তু সেদিন সম্ভবই হয়েছিল এস পির সেই অর্থ সাহায্যের দরুন। এস পি-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সেই গল্প আনন্দ নিজেই লিখেছেন ট্যুইটে।
সেই এক প্রতিভাকে সামনে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন আর এক প্রতিভা। এই মানুষটাই ছিলেন এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা