একদিনে পড়ে গেল প্রায় ৮০০ পয়েন্ট। কম কথা নয়! দিনের শেষে ভারতীয় শেয়ার বাজারের সূচক সেনসেক্স ৭৮৮ পয়েন্ট পড়ে বন্ধ হয় ৪০ হাজার ৬৭৬ পয়েন্টে। ভাল পরিস্থিতিতে ছিল ভারতীয় শেয়ার বাজার। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বাড়তে থাকা টানাপোড়েনের জোর ধাক্কা এসে আছড়ে পড়ল ভারতীয় শেয়ার বাজারে। মুম্বই শেয়ার বাজার এদিন দিনভরই খারাপ ফল করেছে। পড়েছে সূচক। গত ৬ মাসে একদিনে বাজার এতটা পড়েনি।
মুম্বই শেয়ার বাজার যখন একদিনেই হড়কে ৪১ হাজারের ঘর থেকে পড়ে গেল ৪০ হাজারের ঘরে, সেখানে নিফটি উপরে থাকবে এমনটা হওয়ার ছিলনা। হয়ওনি। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচর নিফটি এদিন ২৩৩ পয়েন্ট পড়ে যায়। যা নিফটির জন্য বড়সড় পতন। বাজার বন্ধ হওয়ার সময় ১২ হাজারি গণ্ডিও ধরে রাখতে পারেনি নিফটি। ১১ হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে বন্ধ হয় বাজার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র হানায় বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ইরানের সেনা কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি-র মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে শোকের ছায়া নামে। ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান আয়াতোল্লা খামেনেই জানিয়ে দেন, এই কাজের ফল ভুগতে হবে ওয়াশিংটনকে। সারা বিশ্বই এক অজানা আতঙ্কের মুখে পড়ে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটা সম্ভাবনা অনেকের মাথায় ঘুরতে থাকে। কারণ এজন্য ইরান যদি আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের রাস্তায় হাঁটে তবে তো বিশ্ব জুড়েই একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। ইরান-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তলানিতে ঠেকা পরিস্থিতির প্রভাব পড়ে বিশ্বের শেয়ার বাজারে। প্রভাব পড়ে তেলের দামেও। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল পিছু দাম যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেমনই মুখ থুবড়ে পড়ছে বাজার। বিশ্ব অর্থনীতিও যথেষ্ট মন্থর। তারও একটা প্রভাব পড়ছে। সব মিলিয়ে এসব ধাক্কা থেকে দূরে রাখা গেলনা ভারতীয় শেয়ার বাজারকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা