শেয়ার বাজার পড়তে থাকায় এক সময়ে ‘সার্কিট ব্রেকার’ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাজার অস্বাভাবিক গতিতে পড়তে থাকলে সার্কিট ব্রেকার পরিস্থিতিতে পৌঁছে যেতে পারে। ২০০৮ সালে বিশ্ব মন্দার সময়ে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারতীয় শেয়ার বাজারে। ফলে কিছুটা সময়ের জন্য বন্ধ করতে হয়েছিল বাজার। তারপরও বাজারে ধস নামলেও সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু শুক্রবার বাজার খোলার পরই ২ হাজার ৪০০ পয়েন্ট পড়ে যায় মুম্বই শেয়ার সূচক। তারপরই বন্ধ করতে হয় বাজার। ৪৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর ফের বাজার খোলে।
সকালে যখন এমন পরিস্থিতিতে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছিলেন বাজারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। পরে বেলা যত গড়িয়েছে ততই তাঁদের মুখে সামান্য হলেও হাসি ফুটেছে। দিনের শেষে মুম্বই শেয়ার বাজার ১ হাজার ৩২৫ পয়েন্ট বেড়ে বন্ধ হয় ৩৪ হাজার ১০৩ পয়েন্টে। ৩২ হাজারে পৌঁছে যাওয়া বাজার কিছুটা হলেও ঘুরে ৩৪ হাজারি ঘরে ফেরে। অন্যদিকে নিফটিও ৩৬৫ পয়েন্ট ঘুরে দাঁড়িয়ে ৯ হাজার ৯৫৫ পয়েন্টে বন্ধ হয়। যা পরিস্থিতি তাতে সব ঠিক থাকলে সোমবার নিফটি ফের ১০ হাজারের ওপর চলে যাবে।
শুক্রবার বেলার দিকে শেয়ার বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ব বাজারকেই কারণ হিসাবে সামনে রাখছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্ব বাজার এদিন কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যার সুফল ভোগ করেছে ভারতীয় শেয়ার বাজার। চলতি সপ্তাহে ভারতীয় শেয়ার বাজার যে পরিস্থিতির মুখে পড়েছে তা কখনও পড়তে হয়নি তাদের। করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ভারতীয় বাজারকে যেখানে পৌঁছে দেয় ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দাও অতটা ক্ষতি বাজারের করতে পারেনি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা