রেকর্ড উচ্চতা ছুঁল ভারতীয় শেয়ার বাজার
রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গেল ভারতীয় শেয়ার বাজার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-র জিডিপির পূর্বাভাসের পরই শুক্রবার বাজার চড়তে থাকে। পৌঁছে যায় রেকর্ড উচ্চতায়।
মুম্বই : করোনা পরিস্থিতি জটিল আকার নেওয়ার পর ভারতীয় শেয়ার বাজার হুহু করে পড়েছিল। কিন্তু তারপর নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে তা ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। ফের তা পুরনো জায়গায় ফিরতে থাকে। এক সময় ফিরেও যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির আগেও যে উচ্চতায় ভারতীয় শেয়ার বাজার পৌঁছতে পারেনি, শুক্রবার তা সেখানে পৌঁছে গেল। রেকর্ড গড়ল।
মুম্বই শেয়ার বাজারের সূচক এদিন ছুঁয়ে ফেলে ৪৫ হাজারের গণ্ডি। যা আজ পর্যন্ত ভারতীয় শেয়ার বাজার দেখেনি। রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়ে ফেলায় শেয়ার বাজারে খুশির হাওয়া বয়ে যায়।
মুম্বই শেয়ার সূচক সেনসেক্স ৪৪৬ পয়েন্ট বেড়ে এদিন বন্ধ হয় ৪৫ হাজার ৭৯ পয়েন্টে। অন্যদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি ১২৪ পয়েন্ট বেড়ে বন্ধ হয় ১৩ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে।
এদিনই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জিডিপি নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে। তাতে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি ৭.৫ শতাংশে পৌঁছবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন অবশ্য সুদের হার তিনি অপরিবর্তিতই রাখেন। জিডিপি ৭.৫ শতাংশে পৌঁছনোর পূর্বাভাস আশার আলো দেখায় লগ্নিকারীদের। ফলে এদিন বাজারে উত্থান প্রবণতা দেখা যায়। যা ভারতের শেয়ার বাজারকে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে দিল।
জিডিপি পূর্বাভাসের পাশাপাশি আরও ২টি বিষয় এদিন শেয়ার বাজারের উত্থানে কাজ করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। বিশ্বের ২টি দেশে আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে টিকাকরণের কাজ। ব্রিটেন ও রাশিয়ায় টিকাকরণ শুরু হওয়া বিশ্বের মানুষকে আশার আলো দেখাচ্ছে।
এই অবস্থায় মানুষ যে ভরসা পেয়েছেন তা প্রতিফলিত হচ্ছে বিশ্বের শেয়ার বাজারগুলিতে। সেখানেও একটা উত্থান দেখা যাচ্ছে। তারও একটা প্রত্যক্ষ প্রভাব ভারতীয় শেয়ার বাজারেও পড়েছে।
লগ্নি হচ্ছে। ফলে শেয়ার বাজার বেড়ে চলেছে। এই প্রবণতা ধরে রাখতে পারলে তা ভারতীয় বাজারের সুদিন ধরে রাখতে পারবে। যা লগ্নিকারীদের বিনিয়োগে বাড়তি উৎসাহের যোগান দেবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা