প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে অনেক কিছুই আশা ছিল শেয়ার বাজারের। কিন্তু শেয়ার বাজারের কোনও আশাই সেই অর্থে পূর্ণ হয়নি। ইকুইটি মার্কেট যে আর্থিক অনুঘটকের অপেক্ষায় ছিল তাও পূরণ হয়নি। শেয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবলমাত্র হাউজিং সেক্টর কিছুটা লাভবান হয়েছে মাত্র। কিন্তু তাতে শেয়ার বাজারের আশা যে পূরণ হয়নি তা সোমবার বাজারের অবস্থা দেখলেই পরিস্কার হয়ে যায়। বাজেট ঘোষণার দিন গত শুক্রবার বাজার কিছুটা পড়েছিল। গত ২ দিনে বাজেটের চুলচেরা বিশ্লেষণের পর বাজার পড়ে গেল অনেকটা। গত ৭ মাসে একদিনে এতটা খারাপ ফল ভারতীয় শেয়ার বাজার করেনি। যেখানে বিদেশি লগ্নিকারীদের ওপর ভারতীয় বাজার অনেকটা নির্ভরশীল সেখানে বিদেশি লগ্নিকারীদের ওপরই অতিরিক্ত করের বোঝা চেপেছে বাজেটে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাজারে।
সোমবার সকালে বাজার খোলার পর থেকেই নিম্নমুখী ছিল সূচক। মুম্বই শেয়ার বাজারের সূচক দিনভর নিম্নমুখী থাকার পর দিনের শেষে বন্ধ হয় ৭৯৩ পয়েন্ট পড়ে। বন্ধ হওয়ার সময় সূচক ছিল ৩৮ হাজার ৭২০। যেখানে আশা করা হচ্ছিল বাজেট পেশের পর শেয়ার বাজার ৪০ হাজারি গণ্ডি পার করবে, সেখানে ৩৯ হাজারি গণ্ডি থেকেও নেমে গেল সূচক।
একইভাবে সেনসেক্সের মত পড়েছে নিফটিও। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি এদিন পড়ে যায় ২৫২ পয়েন্ট। একদিনে এটা নিফটির জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ পতন। দিনের শেষে নিফটি বন্ধ হয় ১১ হাজার ৫৫৮ পয়েন্টে। এদিকে বাজারের খারাপ ফলে যেমন বাজেটের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে, তেমনই এদিন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মত বিশ্ব বাজারও নিম্নমুখী। মার্কিন মুলুকে ফেডারেল রিজার্ভ রেট কাট করতে পারে বলে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার জেরে বাজার পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। যার প্রভাব বিশ্ববাজারেও পড়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা