www.netajipapers.gov.in, এবার থেকে এই ওয়েবসাইটে মিলবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত যাবতীয় প্রকাশিত ফাইল। আমজনতা যখন চাইবেন তা পড়তে পারবেন। নেতাজির ১২০ তম জন্মদিবসে দেশবাসীকে ট্যুইট বার্তায় এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন একাধিক ট্যুইটে স্বাধীনতা আন্দোলন ও দেশের স্বাধীনতাপ্রাপ্তিতে নেতাজির ভূমিকার জন্য তাঁকে স্যালুট জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে সংসদে নেতাজির মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ের ম্যালে এদিন দুপুর সওয়া ১২টায় সাইরেন বাজিয়ে নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। নীল-সাদা বেলুন উড়িয়ে নেতাজিকে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করে সত্যিটা সামনে আনারও আহ্বান জানান তিনি। কলকাতার নেতাজি ভবনে এক অনুষ্ঠানে সকালে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। জানান, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন কেন্দ্রে পাঠানো রয়েছে। একদিন নেতাজি মৃত্যু রহস্যের কিনারা হবে বলে এদিন আশাপ্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেয়ো রোডে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করে তিনি দাবি করেন, এতদিন নেতাজি মৃত্যু রহস্য নিয়ে অনেক কমিশন বসেছে। কিন্তু সেখানে সত্য উদ্ঘাটনে আন্তরিকতার অভাব ছিল। এখন অনেক ফাইল সামনে এনে বিষয়টিতে আলোকপাতের চেষ্টা শুরু হয়েছে। এদিন নেতাজি জন্মদিবসে ওয়েলিংটন থেকে শোভাযাত্রা করে বামেরাও। পা মেলান সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ অনেকে। এছাড়া শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করে রাস্তার ওপরই প্রতি বছরের মতই একটি অনুষ্ঠান করা হয়। কোদালিয়াতেও নেতাজির বাড়িতে ছিল নানা অনুষ্ঠান। বিভিন্ন জেলাতেও এদিন সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে নেতাজির ১২০তম জন্মদিবস। বর্ধমানের কার্জন গেট থেকে এদিন একটি শোভাযাত্রা বার হয়। শোভাযাত্রা বার হয় বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বিভিন্ন জেলায়।