নেতাজির জন্মজয়ন্তী এবার থেকে পালিত হবে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক এক বড় ঘোষণা করল। এবার থেকে নেতাজির জন্মজয়ন্তী দেশে পরাক্রম দিবস হিসাবে পালিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
নয়াদিল্লি : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান জানিয়ে দেশ জুড়ে এবার থেকে নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালিত হবে পরাক্রম দিবস হিসাবে। মঙ্গলবার দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রক এমন ঘোষণা করেছে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এখন থেকে প্রতি ২৩ জানুয়ারি তাঁর স্মৃতিতে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে পালিত হবে গোটা দেশে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন এই বছর ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তী বড় করে পালন করা হবে। সেই পরিকল্পনাই রূপান্তরিত হতে চলেছে। সেটাই তাদের ঘোষণায় স্পষ্ট করল দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রক।
প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবসটি ভারতবাসীর কাছে একটি অন্যতম বিশেষ দিন। নেতাজির পরাক্রমশালী ব্যক্তিত্বের কথা স্মরণ করে কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজি জন্মজয়ন্তী এই বছর থেকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হবে বলে ঘোষণা করেছে।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক মঙ্গলবার জানায়, নেতাজির সাহস ছিল অদম্য। তিনি দেশের জন্য যেভাবে নিঃস্বার্থ সেবা করে গিয়েছেন সেই কথা স্মরণ করে ও তাঁকে সম্মান জানিয়ে তাঁর জন্মদিনটি পরাক্রম দিবস হিসেবে পালিত হবে।
পরাক্রম দিবসের মাধ্যমে প্রধানত দেশের যুব সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করা হবে। সুভাষচন্দ্রের মত প্রতিকুল পরিবেশে নিজের মনোবল অটুট রাখার শিক্ষা পাবে তারা এবং তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগরিত হবে বলে মনে করছে দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রক। শুধুমাত্র জাতীয় স্তরে নয় আন্তর্জাতিক স্তরেও উদযাপিত হবে দিবসটি।
বাঙালির হৃদয়ে নেতাজির স্থান কোথায় সেটা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না। বাঙালির গর্বের নাম সুভাষচন্দ্র বসু। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজের অবদান অনস্বীকার্য। সেই সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীকে ঘিরে কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে জল্পনারও সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এমন অবস্থায় রাজ্যের শিল্প সংস্কৃতি বা বিশিষ্ট মনিষী ও ব্যক্তিত্বদের প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসছে বিজেপি-র মুখে।
এমনও প্রশ্ন উঠছে এই সম্মান তো আগেই জানানো যেত। এর আগে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের ‘রস আইল্যান্ড’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আইল্যান্ড’ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা