ফ্রেঞ্চ সিক্রেট সার্ভিস বা ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জাপান অধিকৃত তাইপে-র তাইহোকু বিমানবন্দরে ১৮ অগাস্ট, ১৯৪৫-এ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কোনও উল্লেখ নেই। ১১ ডিসেম্বর ১৯৪৭-এর রিপোর্টে বরং নেতাজি তখনও জীবিত বলেই দাবি করা হয়েছে। তবে নেতাজি তখন ঠিক কোথায় আছেন সে সম্বন্ধে তাদের কাছে কোনও খোঁজখবর নেই বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এমনই দাবি করলেন ফরাসি ঐতিহাসিক জে বি পি মোরে। তিনি জানিয়েছেন ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট পড়ে দেখেই একথা জানাচ্ছেন তিনি। তাই তাঁর মতে, নেতাজির কোনও বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি।
নেতাজির মৃত্যু এখনও এক রহস্য। বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা দীর্ঘকালের। সুভাষচন্দ্র বসু মৃত কিনা তা জানতে সরকার এখনও পর্যন্ত ৩টি কমিশন নিয়োগ করেছে। ১৯৫৬-তে শাহনাওয়াজ কমিটি এবং ১৯৭০-এ খোসলা কমিশন জানায় নেতাজির বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ১৯৯৯-তে গঠিত মুখার্জী কমিশন জানায়, নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি। যদিও সরকার মুখার্জী কমিশনের সেই দাবিকে মান্যতা দেয়নি। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি গবেষণা। যার সাম্প্রতিকতম ফল জে বি পি মোরের দাবি।