বিক্রি হয়েছে মোহনবাগান ক্লাবরে ৮০ শতাংশ শেয়ার। যার মালিক এখন বিশিষ্ট শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ফলে এটিকে এবং মোহনবাগানের এখন একজনই মালিক। মিশে যাচ্ছে বাগান ও এটিকে। এই পরিস্থিতিতে শহর দ্বিধাবিভক্ত। কেউ মনে করছেন এখানেই মোহনবাগানের ১৩০ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি। কেউ মনে করছেন আধুনিক ফুটবলে বেঁচে থাকতে গেলে সবুজ মেরুনের মত ক্লাবে বড় কর্পোরেটের প্রবেশ জরুরি ছিল। এই পরিস্থিতিতে নিজের বক্তব্য এবার খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন মোহনবাগানের বহুদিনের সাথী প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একজন ফুটবল ভক্ত মানুষ। তিনি জানিয়েছেন মোহনবাগানের জন্য এটা ভাল হয়েছে। ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া জানিয়েছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে তিনিই বুঝিয়েছিলেন মোহনবাগান কেনা নিয়ে। আর সুব্রত ভট্টাচার্য এবার বললেন, সব ক্লাবেরই এগিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থের প্রয়োজন। তাই এই পদক্ষেপ ভাল হয়েছে। অনেক মোহনবাগান ভক্তই কিন্তু এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ। তাঁদেরও বিষয়টা বুঝিয়ে বলেছেন সুব্রত।
সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ধরে নেওয়া যায় মোহনবাগান ক্লাবের ১০ হাজার সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৫ হাজার সদস্যও যদি ভাল অঙ্কের ডোনেশন দিতেন তাহলে ক্লাবের কোনও টাই-আপের দরকার পড়ত না। কিন্তু ২-৩ জন মিলে ক্লাবকে টেনে নিয়ে যাওয়া কতদিন সম্ভব! এভাবে চলতেই পারত না। তাই খুব ভাল হয়েছে এটিকে-র সঙ্গে এই সংযুক্তিকরণে। সুব্রত মনে করেন, এটিকে না হলে আম্বানিরা নিত, বা অন্য কেউ, আসল কথা হল ফুটবলের উন্নতি। আর তা এরফলে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা