প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্য রাজনীতির এক অধ্যায়ের সমাপ্তি
চলে গেলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কালীপুজোর রাতে জীবনাবসান হল তাঁর। রাজ্য রাজনীতির এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। সুব্রতদার দেহ দেখতে পারব না, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর হৃদযন্ত্রে ২টি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। তারপর চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। এরমধ্যেই কালীপুজোর রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বুকে কষ্ট হতে শুরু করে। দ্রুত তাঁকে রাত ৮টা নাগাদ উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানে চিকিৎসকদের সবরকম চেষ্টা ব্যর্থ করে ৯টা ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসানে বঙ্গ রাজনীতির এক অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যে কটি নাম প্রথম সারিতে থেকে যাবে তার একটি অবশ্যই সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
সংকটজনক অবস্থায় থাকা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পরিস্থিতি সম্বন্ধে জানতে হাসপাতালে ছুটে আসেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সুব্রতবাবুর পরিবারের লোকজনও হাসপাতালে আসেন।
এদিকে খবর পেয়ে একে একে হাসপাতালে হাজির হতে থাকেন অন্য তৃণমূল নেতারা। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হন এসএসকেএম-এ।
মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে প্রতিবছর কালীপুজো হয়। সে পুজোয় সারাদিন ব্যস্ত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর আয়োজন থেকে পুরো পুজো বসে দেখা, পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া, অতিথি আপ্যায়ন সবই নিজে করেন মমতা। ফলে কালীপুজোয় তাঁর ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে।
এদিনও পুজো চলছিল। তার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী খবর পেয়ে হাজির হন হাসপাতালে। মিনিট পাঁচেক তিনি হাসপাতালে ছিলেন। সঙ্গে এসেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেননি। তখনই একটা অশনি সংকেত মিলেছিল।
পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কালীপুজোর রাতে নেমে এল অন্ধকার। তিনি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ চোখে দেখতে পারবেননা। তিনি জীবনে অনেক ঝড় ঝাপটা সামলেছেন। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু এক বিরাট ক্ষতি।
বলা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক জীবনের শিক্ষাগুরু। সেক্ষেত্রে সুব্রতবাবুর মৃত্যুতে মমতার আঘাত পাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল।