মিশরের চেয়ে অনেক বেশি পিরামিড রয়েছে অন্য এক দেশে
পিরামিড নামটা শুনলেই শিশুদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে একটাই নাম মিশর। কিন্তু মিশরে সবচেয়ে বেশি পিরামিড নেই। বরং অনেক কম রয়েছে অন্য একটি দেশের তুলনায়।
মিশর নামটা পিরামিডের সঙ্গে কেমন যেন জড়িয়ে আছে। পিরামিড আর মিশরকে আলাদা করা যায়না। সারা বছর মিশরে যে বিদেশি পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে তার একমাত্র আকর্ষণ চর্মচক্ষে পিরামিড দেখা।
সাহিত্যেও বারবার মিশরের পিরামিডের কথা উঠে এসেছে। গোয়েন্দা গল্পে জায়গা পেয়েছে মিশরের পিরামিড। মিশরের পিরামিড নিয়েই যত রহস্য।
কিন্তু এটা শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয় যে মিশর কিন্তু সবচেয়ে বেশি পিরামিডের দেশ নয়। বরং বলা ভাল অন্য একটি দেশের তুলনায় সেখানে পিরামিডের সংখ্যা নগণ্য।
মিশরের দক্ষিণে লাগোয়া দেশ সুদান। সেই সুদানেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পিরামিড। যা দেখতে পর্যটকের ভিড় সেখানে জমে না বললেই চলে।
কিন্তু হিসাব বলছে মিশরে এখনও পাওয়া পিরামিডের সংখ্যা ১৩৮টির মত। সেখানে সুদানে পিরামিডের সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫৫টি। ফারাক নজরে পড়ার মতন তো বটেই।
মিশর হোক বা সুদান, পিরামিড কিন্তু তৈরি হত স্বনামধন্য বা ধনী মৃতদের সমাধি দিতেই। সুদানে এত বেশি পিরামিড তৈরি হয় কুশ সাম্রাজ্যে।
এই বংশের রাজারাই সুদানে পিরামিড তৈরিতে মন দিয়েছিলেন। সুদান ভরে গিয়েছিল পিরামিডে। যদিও মিশরে অনেক আগে থেকে পিরামিড তৈরি হত।
মিশরে যে পিরামিড পাওয়া যায় সেগুলি উচ্চতার নিরিখেও সুদানের পিরামিডগুলির চেয়ে অনেক বেশি উঁচু। সুদানে মূলত যে পিরামিড পাওয়া যায় তা ৩০ ফুট উচ্চতার মধ্যেই অধিকাংশ।