শচীন তেন্ডুলকরের অন্ধ ভক্তকে পুলিশের মার, অকথ্য গালিগালাজ
তিনি শচীন তেন্ডুলকরের অন্ধ ভক্ত। শুধু অন্ধ ভক্তই নন, তাঁকে চেনেন না এমন ক্রিকেটপ্রেমী গোটা বিশ্বে নেই। তাঁকেই এবার পুলিশের চরম লাঞ্ছনার শিকার হতে হল।
তিনি শচীন তেন্ডুলকরের অন্ধ ভক্ত। অন্ধ ভক্ত ভারতীয় ক্রিকেটের। এমন কোনও ম্যাচ নেই তাঁকে মাঠে দেখতে পাওয়া যায়না। মাঠে সারা গায়ে ভারতের জাতীয় পতাকার রং করে বুকে তেন্ডুলকর লিখে যে মানুষটা ভারতের বিশাল জাতীয় পতাকা নাড়তে থাকেন ভারতের প্রতিটি ম্যাচে তিনি সুধীর কুমার চৌধুরি।
মাঠে হোক বা টিভিতে তাঁকে ম্যাচের মাঝে একাধিকবার দেখানো হয়। ফলে তিনিও এক সেলেব্রিটি হয়ে গেছেন ভারতের মত ক্রিকেট পাগল দেশে। তাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাকা হয়, সম্বর্ধিত করা হয়।
সেই সুধীর কুমার চৌধুরি বৃহস্পতিবার রাতে ছুটে গিয়েছিলেন বিহারের মুজফ্ফরপুরের একটি পুলিশ স্টেশনে। তিনি খবর পান যে পুলিশ তাঁর দাদাকে গ্রেফতার করেছে। সেটা শুনেই পুলিশ স্টেশনে যান সুধীর।
সেখানে দাদাকে লকআপের মধ্যে দেখে সুধীর বাইরে থেকেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। সুধীরের দাবি, তখনই এক কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে এগিয়ে আসেন। তারপর তাঁর পায়ে পরপর ২টি লাথি কষান।
একটি বেআইনি জমি লেনদেন হয়েছিল ২ ব্যক্তির। সেই লেনদেনে সাক্ষী ছিলেন সুধীরের দাদা। সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় দাদাকে ছাড়াতে এসে নিজেই চরম লাঞ্ছনার শিকার হতে হল ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম ভক্তমুখকে।
সুধীর জানিয়েছেন, তাঁকে অনেকেই চেনেন। এই পুলিশ স্টেশনটিতেই ২ বছর আগে তিনি এসেছিলেন একটি অনুষ্ঠানে। তখন তাঁকে সেলেব্রিটির মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল এখানে।
সেই পুলিশ স্টেশনেই এদিন তাঁকে মারধরও করা হল। সুধীর বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা