তাঁর জীবনে তেমন কোনও আকর্ষণীয় দিক নেই। একেবারেই রুটিনে বাঁধা ছিল জীবন। তাই তাঁকে নিয়ে বায়োপিক হলে তা তিনি নিজেই দেখতে পছন্দ করবেন না। তাঁরই যদি ভাল না লাগে তাহলে দর্শকদের কেন ভাল লাগবে? তাই তাঁর কাছে এক দুবার তাঁর জীবন নিয়ে বায়োপিক করার অফার এলেও তিনি মনে করেন না তাঁর জীবনে এমন কোনও আকর্ষণীয় সময় আছে যা মানুষ সিনেমায় দেখতে চাইবেন। এমনই জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তী সুনীল গাভাস্কার। গাভাস্কার মনে করেন তাঁর জীবন সাদামাটা। তাই তা নিয়ে সিনেমা বানানোর মানেই হয়না।
ইতিমধ্যেই শচীন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কপিল দেবকে নিয়ে বায়োপিক মানুষের মন কেড়েছে। এই অবস্থায় তিনি কী নিজের বায়োপিক দেখতে পছন্দ করবেননা? এ প্রশ্নে গাভাস্কার নিজের জীবনকে সাদামাটা হিসাবেই দেখছেন। তবে তিনি কিছুটা সাহায্য করেছেন পরিচালক কবীর খানকে। কবীর খান একটি সিনেমা বানাচ্ছেন ভারতের ১৯৮৩ সালে ক্রিকেটে বিশ্বজয়কে সামনে রেখে। সেই দলে গাভাস্কারও ছিলেন। তাই তাঁর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন কবীর।
যদিও সুনীল গাভাস্কার যখন মধ্যগগনে তখন তাঁকে নিয়ে কমিকস বইও তৈরি হয়েছে। তাঁর ডাকনাম ‘সানি’ ধরে একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। একটি বই বা কমিকস বানাতে গেলেও আকর্ষণীয় দিক থাকার দরকার পড়ে। আর একজন সফল মানুষের জীবনে কিছু তো আকর্ষণীয় দিক থাকে। উত্থান পতন থাকে। খেলোয়াড়ের জীবনে ফর্মে থাকা না থাকা থাকে। তবে কী গাভাস্কার মনঃক্ষুণ্ণ? ধোনি, শচীন, কপিলের বায়োপিক হয়েছে, কিন্তু তাঁর না থাকাটা কী তাঁকে কিছুটা অভিমানী করে তুলেছে? এর উত্তর স্বয়ং গাভাস্কারই দিতে পারেন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)