কড়া ভাষায় সুনীল গাভাস্কারকে হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী
এবার মহারাষ্ট্রের এক মন্ত্রীর কড়া আক্রমণের মুখে পড়তে হল সুনীল গাভাস্কারকে। ক্রিকেট কিংবদন্তিকে কার্যত হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। গাভাস্কার এখনও বিষয়টিতে মুখ খোলেননি।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৮৬ সালে। তখন ভারতীয় ক্রিকেটের এক মহা তারকার নাম সুনীল গাভাস্কার। সেই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে তদানীন্তন মহারাষ্ট্র সরকার বান্দ্রা ইস্ট এলাকায় একটি ২ হাজার বর্গমিটারের জমি দেয়। ক্রিকেট তথা ক্রীড়া প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি তৈরি করার জন্য এই জমি দেওয়া হয়।
তারপর কেটে গেছে ৩৫ বছর। কিন্তু সেই জমি যেমনকার তেমন পড়ে আছে। সেখানে কিছুই তৈরি করেননি গাভাস্কার। এদিকে নিয়ম হল সরকার যদি কোনও বিশেষ কারণে কাউকে জমি দেয় তাহলে সেখানে সেটা তৈরি করে ফেলতে হয় ৩ বছরের মধ্যে। কিন্তু গাভাস্কার তা ৩৫ বছরেও করেননি। আবার জমি ফেরতও দিয়ে দেননি।
বিষয়টি তুলে ধরে গাভাস্কারকে কার্যত হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের আবাসন মন্ত্রী জিতেন্দ্র আওয়ধ। তিনি সাফ জানিয়েছেন তিনি এই জমির বরাদ্দ বাতিল করে তা নিয়ে নিতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু এই জমির সঙ্গে নেহাতই জড়িয়ে আছে সুনীল গাভাস্কারের নাম। তাই সেটা থেকে তিনি বিরত থেকেছেন।
তবে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন হয় গাভাস্কার এখানে ক্রিকেট প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন, নয়তো জমি ফিরিয়ে নেবে সরকার।
কড়া হুঁশিয়ারির পর কিছুটা নরম হয়ে জিতেন্দ্র বলেন, তিনি গাভাস্কারকে ক্রিকেটের ঈশ্বর মনে করতেন। ফিলিপ ডিফ্রেটাসের বলে যেদিন গাভাস্কার বোল্ড হয়ে যান সেদিন তিনি কাঁদতে কাঁদতে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।
প্রসঙ্গত হেমা মালিনী বা রাজীব শুক্লাকেও এমন ২টি প্লট দিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু তাঁরা সময়মত যে জন্য জমি দেওয়া তা পূরণ করতে না পারায় জমি ফিরিয়ে দিয়েছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে গাভাস্কারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা