একেই বলে বিস্ময়ের পর বিস্ময়। গোটা চাঁদটা পৃথিবীর ছায়ায় চাকতিতে চাকতিতে মিলে যাওয়ার পর লাল চাঁদ দেখে অবাক বিস্ময়ে চেয়েছিলেন অনেকে। পূর্ণিমার চাঁদ হোক বা অন্য কোনও দিন। এমন লালচে চাঁদের দেখা মেলে কই! পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সেই বিরল দৃশ্যের দিকে চোখ রেখে ঘড়ির কাঁটা ৭টা ৩৭ মিনিট ছুঁতেই ফের আর এক বিস্ময়। চাঁদের একটা কোণায় উঁকি দিল আসল চাঁদের চেহারা। যা এদিন পৃথিবীর অনেকটা কাছে। ফলে তার উজ্জ্বলতা ৩০ শতাংশ বেশি। সেই চাঁদের ওপর থেকে আস্তে আস্তে পৃথিবীর ছায়া সরতে লাগল। আর একটা কোণা ধরে বেরিয়ে আসতে আসল চাঁদ। সেই সময়েই একটা কোণা থেকে চাঁদের ঝলমলে দ্যুতি চমকে দিল সকলকে। এ তো ডায়মন্ড রিং!
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রে চোখ ঝলসে দেয় ডায়মন্ড রিং। আর চাঁদের ক্ষেত্রে চোখ জুড়িয়ে দিল সন্ধের আকাশে সেই চাঁদের রূপ। অপরূপ সেই হীরক উজ্জ্বল কোণা বেয়ে যে চাঁদের আলো মানুষের চর্মচক্ষে ধরা দিল সে মহাজাগতিক সৌন্দর্য কেবল উপভোগ করা যায়, বলে বোঝানো অসম্ভব। ক্রমশ এরপর সরতে শুরু করল পৃথিবীর ছায়া। গ্রহণ মুক্তি শুরু হল চাঁদের। যা এখনও আকাশে চোখ মেললেই পরিস্কার চোখে পড়ছে।