সন্ধে নামলেই মহাজাগতিক বিস্ময়, সুপার মুন হয়ে দেখা দেবে চাঁদ
সন্ধে নামার অপেক্ষা। তারপরই আকাশে সুপার মুন রূপে ধরা দিতে চলেছে চাঁদ। তারপরই আবার নীল চাঁদের দেখা মিলবে রাতের আকাশে।
সন্ধে নামলে কিন্তু আকাশের দিকে চোখ রাখার কথা ভুললে চলবে না। এ দৃশ্য চাইলেই দেখা যায়না। এমন দৃশ্য ফের দেখা যাবে ২০৩৭ সালে। তার আগে এমন এক দৃশ্য দেখতে পাওয়া সত্যিই দুর্লভ।
পয়লা অগাস্ট এমনিতে পূর্ণিমা। সে তো প্রতি মাসেই দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে কোনও বিশেষত্ব নেই। কিন্তু সেই পূর্ণিমার চাঁদ যদি সুপার মুন হয়ে আকাশে দেখা যায় তাহলে তো তা বড় পাওনা বটেই।
সন্ধেবেলা আকাশের দিকে নজর দিলে এদিন যে চাঁদের দেখা মিলবে তা সাধারণত চাঁদকে যতটা বড় দেখায় তার চেয়ে অনেক বেশি বড়। কারণ এই সময় চাঁদ পৃথিবীর অনেক বেশি কাছে পৌঁছে যাবে। কতটা কাছে?
চাঁদ যখন সুপার মুন হয়ে দেখা দেয় তখন তা সাধারণত দেখা পূর্ণচন্দ্রের চেয়ে ৮ শতাংশ বড় হয়। আবার পূর্ণিমার চাঁদ যে উজ্জ্বলতা নিয়ে ধরা দেয় মানুষের চোখে, সুপার মুনের ক্ষেত্রে সেই চাঁদের ঔজ্জ্বল্য ১৬ শতাংশ বেড়ে যাবে। অর্থাৎ ৮ শতাংশ বড় ও ১৬ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখাবে এদিন সন্ধের চাঁদ। যাকে বলা হচ্ছে সুপার মুন।
এদিন ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার দূরে থাকবে চাঁদ। পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে দূরত্ব কমার ফলে এই দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। চাঁদ সাধারণত দূরে থাকলে তা পৃথিবী থেকে ৪ লক্ষ ৫ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করাটা নিজেকে এক মহাজাগতিক বিস্ময় থেকে বঞ্চিত করার শামিল।
মেঘে ঢাকা না থাকলে এই সুপার মুন এদিন নজর কেড়ে নেবে সকলের। রাত সাড়ে ৯টার পর সবচেয়ে ভাল দেখা যাবে এই সুপার মুন।