করোনা তাড়াতে লাল পিঁপড়ের চাটনি মান্যতা পেল না সুপ্রিম কোর্টে
করোনা তাড়াতে লাল পিঁপড়ের চাটনি খাওয়াকে মান্যতা দেওয়া হোক, এই মর্মে আবেদনকে মান্যতা দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। বরং অন্য পরামর্শ দিয়েছে আদালত।
করোনা তাড়াতে যত রকম ঘরোয়া টোটকার কথা গত দেড় বছরে সারা দেশে জানা গিয়েছে, তা একসঙ্গে করলে একটা বই লেখা যায়। ঘরোয়া টোটকার প্রতি অনেক মানুষের অগাধ বিশ্বাসও রয়েছে। অনেকে তা মেনেও দেখেছেন। যদি করোনাকে দূরে রাখা যায়।
তবে তা তাঁদের বাড়ি বা পরিচিতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার এমনই একটি টোটকাকে করোনা রোখার উপায় হিসাবে মান্যতা দেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হলেন একজন। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছয়। ওই ব্যক্তি কার্যত নাছোড় ছিলেন টোটকাকে মান্যতা দেওয়াতে।
কী ছিল তাঁর টোটকা? তাঁর দাবি ছিল লাল পিঁপড়ের চাটনি খেতে সকলকে পরামর্শ দেওয়া হোক। যা করোনাকে সকলের থেকে দূরে রাখবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে তারা এটাকে মান্যতা দিতে পারছেনা।
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই ধরনের পন্থা কেউ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে চাইলে করতেই পারেন। কিন্তু তা দেশের মানুষকে ব্যবহার করতে বলা যাবে না। বরং করোনাকে দূরে রাখতে টিকা গ্রহণের ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শই দিয়েছে শীর্ষ আদালতের এই বেঞ্চ।
এই লাল পিঁপড়ের চাটনি খেয়ে করোনাকে দূরে রাখার বিষয়টি কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকও নাকচ করে দিয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রক বিষয়টি তাদের যা নিয়ে কাজ তার মধ্যে পড়ে না বলেও জানিয়ে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা