দিল্লিতে ২ দিনের লকডাউনের পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট
দিল্লিতে ২ দিনের জন্য টানা লকডাউনের পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
দিল্লিতে কী করা যায়? তবে কী ২ দিনের লকডাউনই পথ? নাকি অন্য কিছু করা হবে? এভাবে দিল্লির মানুষ থাকবেন কীভাবে? ঘরেও মুখে মাস্ক দিয়ে থাকতে হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে আদালতে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে এই প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
স্বভাবতই এর মধ্যে লুকিয়ে ছিল ২ দিনের লকডাউনের পরামর্শ। তুষার মেহতা আদালতের সামনে যাবতীয় যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। কেন্দ্র কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানান।
এখন লকডাউন শব্দটা ছোট ছোট বাচ্চাও জানে। জানে করোনা বাড়লে তা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন হয়। কিন্তু এবার করোনা রুখতে নয়, অন্য কারণে লকডাউনের পরামর্শ সামনে এল। যে পরামর্শ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এই পরামর্শ দেয়।
দিল্লিতে প্রতিদিন বাড়ছে ধোঁয়াশার দাপট। যা আদপে চূড়ান্ত দূষণ ছাড়া আর কিছু নয়। পঞ্জাব, হরিয়ানায় এই সময় প্রতি বছর খড় বা চাষের বর্জ্য পোড়ানো হয়। তার ধোঁয়া দিল্লি ও তার আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাকে গ্রাস করে। তার ওপর রয়েছে আতসবাজির ধোঁয়ার কারণে দূষণ। যানবাহন থেকে দূষণ।
সব মিলিয়ে দিল্লি এখন দূষণের ধোঁয়াশার গ্রাসে। যা সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দূষণ থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক পরে অনেকে বাড়িতেও কাটাচ্ছেন।
এই সময় দিল্লির এই পরিস্থিতির জন্য প্রতিবছর কৃষকদের খড় পোড়ানোকে দায়ী করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছে, কৃষকদের ঘাড়ে দোষ চাপানো ছেড়ে যেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি একসঙ্গে মিলে এই দূষণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের পথ বার করে। ২ দিন লকডাউন করে আপাতত দূষণ কমানোর পরামর্শ দিয়েছে আদালত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা