মুন্না ভাই এমবিবিএস সিনেমাটা দেখেছেন, দুঁদে আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতির
একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সামনে রেখে কলেজের হয়ে সওয়াল করতে ওঠা দুঁদে আইনজীবীকে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়তে হল।
বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজটি তৈরি হয় ১৯৯২ সালে। বর্তমানে সেখানে প্রতি বছর ১০০ জন এমবিবিএস পড়ুয়া চিকিৎসক হয়ে ওঠার পাঠ নেন। মেডিক্যাল কলেজ হিসাবে জনপ্রিয়তাও রয়েছে। সেখানেই ভুয়ো রোগী সংক্রান্ত অভিযোগ সামনে এল।
অভিযোগ মহারাষ্ট্রের ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগে অধিকাংশ রোগীর কোনও শারীরিক সমস্যাই নেই! অথচ তাদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই অভিযোগের বিচারের জন্য গঠিত বেঞ্চের প্রধান। অন্যদিকে মেডিক্যাল কলেজটির হয়ে আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন দুঁদে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
এদিন বিচারপতি চন্দ্রচূড় অভিষেক মনু সিংভিকে বলেন, এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে শিশু বিভাগে সুস্থদের ভর্তির অভিযোগ রয়েছে। অভিষেক মনু সিংভি মুন্না ভাই এমবিবিএস সিনেমাটি দেখেছেন কিনা তাও জানতে চান বিচারপতি। বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সূর্য কান্ত জানান, এই অভিযোগ হাসপাতালে ভুয়ো রেকর্ড সামনে আনার।
ওই হাসপাতালে এর আগে যে ইন্সপেকশন হয় তাতে গত ১৪ জানুয়ারি এক চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে আসে বলে জানান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
১৪ জানুয়ারি দেখা যায় নার্সদের চার্টে আগে ভাগেই রোগীদের নানা তথ্য লেখা ছিল। এমনকি ১৪ জানুয়ারি দাঁড়িয়ে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কি কি চিকিৎসা হয়েছে তা লেখা ছিল। যা চমকিত করেছে সকলকে।
বিষয়টি এখন বিচারাধীন। এদিকে একটি হাসপাতালে এমন কাণ্ডের অভিযোগ সাধারণ মানুষকে হতবাক করে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা