আপনি কি সংস্কৃতে কথা বলেন, সুপ্রিম প্রশ্নে এক কথায় চুপ আবেদনকারী
তিনি কি সংস্কৃতে কথা বলতে পারেন? সংস্কৃতেই কথা বলেন? ১ লাইন সংস্কৃতে আবৃত্তি করতে পারবেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নে কার্যত দিশেহারা আবেদনকারী।
একেই বলে এক কথায় চুপ করিয়ে দেওয়া। যা সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নে হাল হল এক আবেদনকারীর। জনস্বার্থ মামলা এখন অনেকেই করে থাকেন। যা কয়েকটি যে কার্যত না বুঝে করতে ইচ্ছে হল তাই করলাম গোছের হয় তা ফের একবার প্রমাণ হল।
তিনি কাজ করতেন উচ্চপদে। গুজরাটের প্রাক্তন অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি কেজি বানজারা সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। যেখানে তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন সংস্কৃতকে যেন ভারতের জাতীয় ভাষার তকমা দেওয়া হয়।
বানজারা আবেদনে জানান, প্রায় ২ হাজার বছর আগেই হিব্রু ভাষাও প্রায় শেষ হয়ে যায়। সেই হিব্রু ভাষাকেই ১৯৪৮ সালে ইজরায়েল ইংরাজির সঙ্গে তাদের জাতীয় ভাষার মর্যাদা দেয়। সেক্ষেত্রে সংস্কৃতই বা ভারতের জাতীয় ভাষা হবে না কেন? এই মর্মে যেন শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় সেই দাবিও করেন বানজারা।
সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চ জানায়, সংস্কৃতকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিতে হলে সংবিধান সংশোধনের দরকার আছে। এটা নিয়ে আদালত নির্দেশ দিতে পারেনা।
সেইসঙ্গে বিচারপতিরা আবেদনকারীকে কয়েকটা প্রশ্ন করেন। ২ বিচারপতি আবেদনকারীকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি নিজে সংস্কৃতে কথা বলেন? তিনি কি সংস্কৃতে ১ লাইন আবৃত্তি করে দেখাতে পারবেন? ভারতের কটা শহরে সংস্কৃতে কথা বলার প্রচলন আছে?
বিচারপতিরা এটাও জানতে চান বানজারা সংস্কৃতকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়ার যে আবেদনপত্রটি আদালতে জমা দিয়েছেন সেটাই কি তিনি সংস্কৃতে তর্জমা করে দিতে পারবেন? এরপর কার্যত আর কিছু বলার ছিলনা আবেদনকারীর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা