National

চোখে কাপড় নেই, হাতে তরোয়াল নেই, বদলে গেল বিচারব্যবস্থার প্রতীক লেডি জাস্টিস

আদালতে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে এক নারীর চোখে বাঁধা। তাঁর হাতে একটি দাঁড়িপাল্লা এতদিন নজর কেড়েছে। এবার তাতে বদল এল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের গ্রন্থাগারে।

বিচার পক্ষপাতিত্ব করেনা। যে কোনও ভেদাভেদের উর্ধ্বে উঠে কেবল ন্যায়বিচার করাই তার কাজ। এজন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে এক নারীর চোখে কাপড় বাঁধা আর হাতে দাঁড়িপাল্লা দেখে অনেকেই অভ্যস্ত।

আদালতে যাওয়ার ফলে কারও তা নজরে পড়েছে। আর যাঁরা আদালতে কখনও যাননি তাঁরাও এটা জানেন বিভিন্ন সিনেমার কৃপায়। সেই ব্রিটিশ যুগের প্রতীকে এবার কিন্তু বদল হল। দেশের শীর্ষ আদালতে থাকা বিচারপতিদের গ্রন্থাগারে বদলে গেল এই প্রতীকী নারী মূর্তি। যাকে বলা হয় লেডি অফ জাস্টিস।


যে নতুন মূর্তি সামনে এসেছে তাতে নারী মূর্তির হাতের দাঁড়িপাল্লায় কোনও বদল নেই। তবে চোখে কাপড় বাঁধায় বদল আছে। নতুন মূর্তিদের চোখে কাপড় বাঁধা নেই। এই লেডি অফ জাস্টিসের এক হাতে যেমন দাঁড়িপাল্লা তেমন অন্য হাতে ধরা আছে ভারতীয় সংবিধান।

চোখে কাপড় না বেঁধে কার্যত বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে দেশের আইন অন্ধ নয়। এতদিন চোখে কাপড় বেঁধে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে আইন সবকিছুর উর্ধ্বে। আবার আগে লেডি অফ জাস্টিসের হাতে তরোয়াল ছিল। যা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব।


কিন্তু নতুন এই মূর্তির হাতে তরোয়ালের জায়গায় রয়েছে ভারতীয় সংবিধান। সব মিলিয়ে বোঝানের চেষ্টা হয়েছে দেশে আইন সকলকে সমানভাবে দেখে। সংবিধানে বর্ণিত বিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ করে।

ব্রিটিশ আমলের ইন্ডিয়ান পিনাল কোড বদলে এখন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা হয়েছে। এবার ব্রিটিশ আমলের লেডি অফ জাস্টিসেও বদল এল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের চিহ্ন মুছে দিতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button