তামিলনাড়ুর কুর্সির দখল ঘিরে শশীকলা নটরাজন ও পনিরসেলভমের টানটান লড়াইয়ে জল ঢেলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত শশীকলার ৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
২১ বছরের পুরনো এই মামলায় ইতিমধ্যেই ৬ মাস জেল খেটে ফেলেছেন তিনি। বাকি ৩ বছর ৬ মাস এই রায়ের পর গারদের পিছনেই কাটাতে হবে জয়ললিতার মৃত্যুর পর তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর হয়ে ওঠা শশীকলাকে।
সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ ও বিচারপতি অমিতাভ রায়ের ২ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ শশীকলার ১০ কোটি টাকা জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে। সাজা পূরণের পর ৬ বছর তিনি কোনও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার সময় মহাবলীপুরমের গোল্ডেন বে রিসর্টে ছিলেন শশীকলা। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার পরই গোটা রিসর্ট ঘিরে ফেলে পুলিশ। তামিলনাড়ু জুড়েই পুলিশি বন্দোবস্ত জোরদার করা হয়েছে। শশীকলা শিবিরের তরফে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে তৎপর রাখা হয়েছে প্রশাসনকে।
এদিকে এই রায় ঘোষণার পরই পনিরসেলভম শিবিরে উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে যায়। সমর্থকেরা মেতে ওঠেন অকাল হোলিতে। এদিকে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ডিএমকে। ডিএমকের তরফে এই রায়কে রাজনৈতিক সাফল্য বলে দাবি করে বিবৃতি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করে একে কেন্দ্রের চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন শশীকলা। এডিএমকে-র তরফে শশীকলার প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। চিন্নাম্মা জানিয়েছেন, এই রায়ে তাঁর লড়াই থেমে থাকবে না। লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন।