সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্র। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার নয় বলে দাবি করেছিল কেন্দ্র। এদিন তা স্পষ্টতই নাকচ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এমনিতেই সাংবিধানিক নীতির ব্যাখ্যা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে তা পরিস্কার করা শীর্ষ আদালতের অন্যতম কর্তব্য। এদিন সেই কাজটাই করল সুপ্রিম কোর্ট। সাফ জানিয়ে দিল, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার সংবিধানের মৌলিক অধিকারে স্বীকৃত। সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা মানুষকে স্বাধীনভাবে জীবনধারণের অধিকার দেয়। এরফলে আয়কর দাখিল, ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোনও জায়গা থেকে মানুষের গোপন তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা আর রইল না।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে আধার কার্ডের ভবিষ্যৎ কী হল? আধার কার্ড কী তবে বাতিল? এ প্রশ্নের উত্তর এদিন সুপ্রিম কোর্ট দেয়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির একটি ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকার হলেও তা চূড়ান্ত নয়। তাতে বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে বলেই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অন্যদিকে এই রায়কে প্রতিটি ভারতবাসীর জয় বলে ব্যাখ্যা করে ট্যুইটে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন এই রায়ের ফলে দেশের ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলি বড় ধাক্কা খেল। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে সুপ্রিম স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।