প্রত্যেক চিত্র পরিচালক ও লেখকের নিজস্ব মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। এই ব্যাপারে কারও হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়। বৃহস্পতিবার একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। পদ্মাবতী সিনেমার মুক্তি রুখতে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদন এদিন খারিজ করে দেয় কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে অমান্য না করলেও চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বন্ধের ডাক দিয়েছে করণী সেনা। রাজপুত সংগঠনের দাবি, তাদের পূর্বপুরুষেরা নিজেদের রক্তক্ষয় করে দেশের ইতিহাস রচনা করেছেন। সেটিকে কোনভাবেই কালিমালিপ্ত করা যাবে না। তাই তাদের দাবি, আগামী ১৭ নভেম্বরের মধ্যে জটিলতা না মেটানো হলে পর্যটকদের চিতোরগড় দুর্গে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।
অভিযোগ, রাজপুত সংগঠনের এক নেতা নাকি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা দীপিকা পাড়ুকোনের নাক কেটে নেওয়ায় হুমকি পর্যন্ত দেন। রাজপুতরা মেয়েদের গায়ে হাত তোলেন না। কিন্তু প্রয়োজনে সূর্পণখার মত অবস্থা করতেও পিছপা হবেনা বলে হুমকি দেন ওই সংগঠনের এক নেতা।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও কার্যত পদ্মাবতীর বিরোধীদের সুরেই সুর মিলিয়েছেন। তবে একটু অন্যভাবে। পদ্মাবতী সিনেমাটি মুক্তি পেলে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে যোগী আদিত্যনাথ সেন্সর বোর্ডের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে মানুষের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই যেন তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।