পঞ্চায়েত নির্বাচনে ই-মনোনয়ন গ্রহণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করল। সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালত রাজ্যের যে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের শংসাপত্র দিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে মানা করেছে। প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করতেও মানা করা হয়েছে। বাদবাকি যে ৬৬ শতাংশ আসনে আগামী ১৪ মে ভোট হওয়ার কথা তা যেমন হওয়ার হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে ই-মনোনয়ন নিয়ে শুনানি হবে। ই-মনোনয়ন নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩ জুলাই। শীর্ষ আদালত এদিন যা নির্দেশ দিয়েছে তাতে আপাতত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের ভাগ্য ঝুলে রইল। বিজয়ীর তকমা তাঁরা এখনই পাচ্ছেননা।
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পেশের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের প্রেক্ষিতে মনোনয়ন পেশের দিন একদিন বাড়িয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত ২৩ এপ্রিল ছিল সেই দিন। ওদিন বিকেল ৩টে পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র পেশের সময়সীমা। সে সময়ে যে কজন ইচ্ছুক প্রার্থী ই-মেল মারফত মনোনয়নপত্র পাঠিয়েছেন তা গ্রহণ করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সিপিএমের তরফে করা ই-মনোনয়ন সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দেয় আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন। এদিন সেই রায়ের ওপরই স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে সুনিশ্চিত হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যেদিন চাইবে ভোট করাতে পারে। এদিনই আবার সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকেও ১৪ মে ভোট নিয়ে সবুজ সংকেত পেয়ে গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে তাদের তরফে ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট করানো নিয়ে কোনও সমস্যা আর রইল না।