রাজ্যপাল সময় দিয়েছিলেন ১৫ দিন। সুপ্রিম কোর্ট তা নামিয়ে আনল ১ দিনে। সদ্য শপথ নেওয়ার পর রাজ্যের মসনদ ধরে রাখতে শনিবার বিকেলেই কর্ণাটক বিধানসভায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে ইয়েদুরাপ্পা সরকারকে। এদিন তেমনই নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়ে দিয়েছে এতে কোনও দলই হাতে সময় পাবেনা। এদিনের সুপ্রিম নির্দেশকে ঐতিহাসিক বলেই ব্যাখ্যা করেছেন কংগ্রেসের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। অন্যদিকে সরাসরি না বললেও খুশি নয় বিজেপি। আদালতে এদিন ইয়েদুরাপ্পার আইনজীবী মুকুল রোহতগি ট্রাস্ট ভোটের আগে কমপক্ষে ১ সপ্তাহ সময় চান। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি আদালত। অন্যদিকে কংগ্রেস শনিবার বিধানসভায় আস্থা ভোটের পুরোটার ভিডিও করার দাবি জানায়। যা সুপ্রিম কোর্ট নাকচ করে দিয়েছে। আবার বিজেপি চেয়েছিল গোপন ব্যালটে ভোট। সেটাও নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১০৪টি আসন দখল করেছে। সরকার গড়তে দরকার কমপক্ষে ১১২টি আসন। সেখানে কংগ্রেস, জেডিএস জোটের হাতে রয়েছে ১১৬টি আসন। দুপক্ষই রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি নিয়ে হাজির হন। কিন্তু রাজ্যপাল ডাকেন বিজেপিকে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁকে ১৫ দিন সময় দেন রাজ্যপাল। এরমধ্যে তাঁকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন। এদিকে ঘোড়া কেনাবেচার চেষ্টা করছে বিজেপি বলে অভিযোগ করে শোরগোল ফেলে দেন জেডিএস প্রধান কুমারস্বামী। তিনি দাবি করেন, তাঁর দলের বিধায়কদের ১০০ কোটি টাকা ও সঙ্গে মন্ত্রিত্বের লোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেস ও জেডিএস তাদের বিধায়কদের একটি রিসর্টে কার্যত নজরবন্দি করে ফেলে। যাতে তাঁদের কোনওভাবে বিজেপি যোগাযোগ না করতে পারে।
এই অবস্থায় শনিবার বিকেলে কর্ণাটক বিধানসভার দিকে নজর থাকবে গোটা দেশের। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ফলাফল বিজেপি, কংগ্রেস, দুপক্ষের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।