দিল্লির উপ-রাজ্যপালই দিল্লির প্রশাসনিক প্রধান। কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কথা শুনতেই হবে তাঁকে। তিনি তা শুনতে বাধ্য। উপ-রাজ্যপাল সবক্ষেত্রে নিজের মত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননা। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশে তাঁদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জয় হল বলেই ব্যাখ্যা করেছে আম আদমি পার্টি। দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির নির্বাচিত সরকার ও দিল্লির উপ-রাজ্যপালের প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার নিয়ে চাপানউতোর চলছিল। হালে এ নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ তাঁর মন্ত্রিসভার অন্য মন্ত্রীরা উপ-রাজ্যপালের দফতরে দিনের পর দিন ধর্নাও দেন। তাঁদের দাবি ছিল কেন্দ্রের নির্দেশে উপ-রাজ্যপাল তাঁদের প্রশাসনিক কাজ চালাতেই দিচ্ছেন না। দিল্লির প্রশাসনিক এক্তিয়ার নিয়ে এই টানাপোড়েন পৌঁছেছিল শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। আর সেখানেই এদিন কার্যত জয়ী অরবিন্দ সরকার।
সুপ্রিম কোর্টর রায়ের পর খুশি আপ। তাদের দাবি, দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এবার কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে। তাদের দাবি ছিল উপ-রাজ্যপালকে দিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক কাজে নিরন্তর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল উপ-রাজ্যপালই দিল্লির একমাত্র প্রশাসনিক কর্তা। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। সেখানে প্রধান বিচারপতি সহ ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন কিন্তু তাঁদের রায়ে জানিয়ে দিল দিল্লিতে যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। তাই দিল্লি শহরের প্রশাসনিক কাজে সেই সরকারের কথা শুনতে বাধ্য উপ-রাজ্যপাল। এদিনের রায় বিজেপির জন্য একটা বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।