দিল্লির বুকে এক মেডিক্যাল ছাত্রীর ওপর পাশবিক অত্যাচার ও গণধর্ষণের ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। তোলপাড় হয়েছিল দোষীদের শাস্তির দাবিতে। সেই নির্ভয়া কাণ্ডের ৬ দোষীর ১ জন ছিল নাবালক। খাতায় কলমে আঠারো বছর বয়স না হাওয়ায় সে আইনের ফাঁক গলে পার পেয়ে যায়। ৩ বছর পর ছাড়া পায় সে। যে বাসে এই পাশবিক ঘটনা ঘটে সেই বাসের চালক রাম সিং সংশোধনাগারের মধ্যেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার সিং, বিনয় শর্মা, মুকেশ ও পবন গুপ্তাকে ফাঁসির সাজা দেয় নিম্ন আদালত। সেই সাজার বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে যায়। সেখানেও তাদের সেই সাজা বহাল থাকে। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় তারা। কিন্তু শীর্ষ আদালতও সেই সাজা বহাল রাখে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সাজা আরও একবার বিবেচনা করে দেখার জন্য শীর্ষ আদালতে ফের আবেদন করে বিনয় শর্মা, মুকেশ ও পবন গুপ্তা। কেবল অক্ষয় কুমার সিং আর কোনও আবেদন করেনি। সে ফাঁসির সাজা মেনে নেয়।
সোমবার সেই ৩ আবেদনকারীর আগের সাজাই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে ৩ বিচারপতির বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয় ৩ আবেদনকারীর সাজা মকুবের মত কোনও পাকাপোক্ত কারণ তারা দেখছে না। প্রসঙ্গত ৩ আবেদনকারী চেয়েছিল তাদের সাজা প্রাণদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হোক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। ফলে তাদের একটাই সাজা, আর তা হল মৃত্যুদণ্ড।