প্রত্যেক মহিলাও ঈশ্বরের সৃষ্টি। তাহলে কেন তাঁদের পুজো দেওয়ার অধিকারের মধ্যে বিভাজন থাকবে? মহিলাদের পুজো দেওয়ার অধিকার সাংবিধানিক অধিকার। তাছাড়া যখন জনসাধারণের জন্য একটি মন্দির খোলা হয়েছে তখন সেখানে যে কেউ পুজো দিতে যেতে পারেন। কোনও মহিলাকে মন্দিরে পুজো দিতে না দেওয়া তাঁর সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। কেরালার শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সের মহিলাদের প্রবেশে নিষেধের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ আবেদনের ভিত্তিতে এদিন এমনই জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। অর্থাৎ আগামী দিনে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশে যে কোনও বয়সের মহিলাদের আর আইনি বাধা রইল না।
১৯৯১ সালে কেরালা হাইকোর্ট একটি মামলার প্রেক্ষিতে রায় দিয়েছিল প্রাচীন শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়স্ক মহিলারা প্রবেশ করতে পারবেন না। কারণ তাঁরা ওই বয়ঃসীমায় ঋতুমতী থাকেন। তা নিয়ে সমাজের নানা স্তর থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়ে।