ইদানিংকালে আদালতে এমন দাপুটে জয় রাজ্য সরকারের ভাগ্যে জোটেনি। বরং অনেক মামলাতেই আদালতের নানা প্রশ্ন, ভর্ৎসনা শুনতে হয় রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের। কিন্তু বহুল চর্চিত পঞ্চায়েত মামলার রায় সে সব গ্লানি মুছে দিল। খোদ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিরোধীদের দুরমুশ করল শাসক তৃণমূল। সেইসঙ্গে ২০১৯-এর আগে বাড়তি অক্সিজেনও পেল তারা। তৃণমূল এই রায়ে যেমন আত্মবিশ্বাসে অনেকটা শান দিতে পারল, তেমনই বিরোধীরা একটু দমে গেল। তাদের জন্য সুপ্রিম নির্দেশ অবশ্যই একটা বড় ধাক্কা।
শুক্রবার পঞ্চায়েত মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্টে ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয় পঞ্চায়েত ভোটে যে ২০ হাজার আসনে জয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এই মামলার জন্য আটকে ছিল, সেসব আসনে অবিলম্বে জয়ের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করতে হবে। অর্থাৎ যেসব আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল তৃণমূল সেসব আসনে একমাত্র মনোনয়ন দাখিল করা প্রার্থীই জয়ী হলেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই তৃণমূলের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে। কারণ বিরোধীরা এই ২০ হাজার আসনেই প্রার্থী দিতে না পারার অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। পরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। অবশেষে শীর্ষ আদালতের রায় রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই গেল।
শুধু এক্ষেত্রেই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেল মারফত মনোনয়নকে কলকাতা হাইকোর্ট স্বীকৃতি দিয়েছিল। যা নাকচ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য পঞ্চায়েত আইনে এমন কোনও সংস্থান নেই। জয়ের পর রাজ্য সরকারের সাংসদ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যতই খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন।