পেশাগত জীবনে আইনজীবী। আবার সাংসদ অথবা বিধায়কও। এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সংখ্যা ভারতে কম নয়। সব দলেই এমন তাবড় নেতা রয়েছেন যাঁরা সাংসদ, বিধায়কও, আবার ওকালতিও করছেন। ফলে ২ জায়গা থেকেই অর্থ রোজগার করছেন তাঁরা। যারমধ্যে সাংসদ, বিধায়ক হিসাবে তাঁদের রোজগার মাস মাইনে। যে মাইনে তাঁরা পান দেশের মানুষের করের টাকায়। সেখানে উপার্জনের পরও আবার ওকালতি করে তাঁরা রোজগার করেন কীভাবে? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাংসদ, বিধায়কদের ওকালতিতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়।
সেই আবেদনে রায়দান ধরে রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সেই রায়দান হল। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল সাংসদ বা বিধায়ক পদ থাকলেও তাঁদের ওকালতিতে কোনও বাধা নেই। তাঁরা জানিয়েছেন, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার আইনে এমন কোনও বাধা নেই। ফলে তাঁরা নিশ্চিন্তে আদালতে প্র্যাকটিস করতে পারেন।
প্রসঙ্গত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি থেকে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অথবা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বা অভিষেক মনু সিংভি, সকলেই পেশাগতভাবে আইনজীবী। আবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাংসদ। এমন উদাহরণ আরও অনেক আছে। এদিনের রায়ের পর এঁদের মুখে ফের হাসি ফুটল সন্দেহ নেই।