একেবারের বন্ধ হচ্ছে না বাজি বিক্রি। শুধু দীপাবলি বলেই নয়, অন্য সব উৎসব বা বিয়েতেও বাজি পোড়ানো যাবে, তবে তা পোড়াতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। কিছু ক্ষেত্রে বাজি পোড়ানোর জন্য শহরের কিছু জায়গাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। শহরগুলিতে দীপাবলিতে এবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি একে সিকরি ও বিচারপতি অশোক ভূষণের ২ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বাজি বিক্রির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে না। তবে বাজি বিক্রি করতে পারবেন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতারা। কোনও অনলাইন ই-কমার্স সাইট বাজি বিক্রি করতে পারবে না। পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। দিল্লির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থান বেঁধে দেওয়া হবে। সেখানেই কেবল বাজি পোড়াতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
দীপাবলি বলেই নয়, বড়দিন বা নববর্ষের রাতে ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি পোড়াতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এমনকি বিয়েতেও নির্দিষ্ট সময় মেনেই বাজি পোড়াতে হবে। তবে ২০০৫ সালে বেঁধে দেওয়া শব্দবিধি মেনেই যাবতীয় আতসবাজি পোড়াতে হবে।
গত বছর দূষণমাত্রার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষামূলকভাবে বাজি বিক্রিতে সীমিত সময়ের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বোঝার জন্য বাজি বিক্রি বন্ধ করে আতসবাজি পোড়ানোয় লাগাম টেনে বাতাসের দূষণমাত্রার হেরফের কেমন হয়। তবে এদিন বাজি বিক্রি বা পোড়ানোর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যান আরোপ না হওয়ায় অখুশি আবেদনকারীরা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)