গত ২৩ ও ২৪ অক্টোবরের মধ্যবর্তী মধ্যরাতে সিবিআই-এর ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তে সেন্ট্রাল ভিজিলান্স কমিশনেরও সায় ছিল। সিবিআই ডিরেক্টর হিসাবে সব ক্ষমতা তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমন কজ এনজিও-র তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সেই মামলায় এদিন সুপ্রিম কোর্ট অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানো ও তাঁর হাত থেকে সিবিআই ডিরেক্টর হিসাবে সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয় অলোক বর্মাকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করা হল। তবে তাঁকে সম্পূর্ণ ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। অলোক বর্মাকে ফেরানো হলেও সিবিআই ডিরেক্টর হিসাবে তিনি কোনও বড় সিদ্ধান্ত এখন গ্রহণ করতে পারবেননা।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অলোক বর্মার সিবিআই ডিরেক্টর পদে ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাই পাওয়ার কমিটি। যে কমিটিতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেখানে অলোক বর্মার ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে। আর সেই কমিটিকে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যেই এই বিষয়ে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশকে আংশিক জয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন প্রশান্ত ভূষণ। তিনি জানান, যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট অলোক বর্মাকে সম্পূর্ণ ক্ষমতা ফেরত দেয়নি তাই এই জয় আংশিক জয়। যদিও এদিনের সুপ্রিম নির্দেশকে কেন্দ্রীয় সরকারে জন্য ফের একটা ধাক্কা হিসাবেই নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)