আদালত অবমাননার জন্য সাজা হল সিবিআইয়ের প্রাক্তন অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর এম নাগেশ্বর রাওয়ের। তবে সাজার ধরণ নেহাতই বিরল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ৩ সদস্যের বেঞ্চ এম নাগেশ্বর রাওকে আদালত অবমাননার অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করে।
এম নাগেশ্বর রাও এবং সিবিআইয়ের লিগাল অ্যাডভাইজারকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রধান বিচারপতি সাফ জানান, আদালত অবমাননার জন্য তাঁদের ৩০ দিন পর্যন্ত কারাবাসের নির্দেশও তিনি দিতে পারতেন। কারণ যা করা হয়েছে তা না বুঝে নয়। বরং জেনে বুঝেই করা হয়েছে। এরপর আদালত এম নাগেশ্বর রাও ও সিবিআইয়ের লিগাল অ্যাডভাইজারকে আদালতের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালতেই বসে থাকার নির্দেশ দেয়। সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এম নাগেশ্বর রাওকে।
জরিমানার সাজা আগেও দেখা গেছে। কিন্তু এভাবে একদিন এম নাগেশ্বর রাওয়ের মত উচ্চপদস্থ আধিকারিককে আদালতের মধ্যে বসিয়ে রাখার সাজা বিরল। কিন্তু কেন এই সাজা? সিবিআই-এর প্রাক্তন অধিকর্তা অলোক বর্মাকে রাতারাতি সরানোর নির্দেশের পর সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তী অধিকর্তার দায়িত্ব সামলাতে বলা হয় এম নাগেশ্বর রাওকে। সেসময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে বিহারের মুজফ্ফরনগর হোমের একটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিক একে শর্মাকে বদলির কাগজে সই করেন এম নাগেশ্বর রাও।
গত সোমবার এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ও ক্ষমা চেয়ে শীর্ষ আদালতকে চিঠি দেন এম নাগেশ্বর রাও। অ্যাটর্নি জেনারেলও তাঁর সাজা লঘু করার জন্য আদালতে আপিল করেন। তারপর মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। ১ লক্ষ টাকা জরিমানার পাশাপাশি সারাদিন আদালতের কোণায় বসে থাকতে হল এম নাগেশ্বর রাওকে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)