২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেও সিপিএমের সমালোচনায় ততটাও ভয়ংকর চেহারা নেননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তার জবাব দিতে বসে সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রর গলাতেও সেই ক্ষুরধার সমালোচনা শুনতে পাওয়া গেলনা। বরং রয়েসয়ে মাপা সমালোচনাতেই রাজনৈতিক দায়িত্ব সারলেন তিনি।
বিজেপি যা করে কেন্দ্রে, রাজ্যে তৃণমূলও তাই করে। এমনই দাবি করেছেন সূর্যকান্ত। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, তৃণমূলনেত্রী বলছেন সাংবাদিকরা বিজেপির ভয়ে তাদের পক্ষে লিখতে বাধ্য হচ্ছেন। এ রাজ্যেও তো তাই হচ্ছে। এখানেও সংবাদমাধ্যমগুলো তৃণমূলের পক্ষে লিখতে বাধ্য হচ্ছে, এমনই দাবি করেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
কিন্তু এই নিয়ম সর্বস্ব পারস্পরিক রাজনৈতিক সমালোচনা কী অন্য ইঙ্গিত বহন করছে। তবে কী কেন্দ্রে বিজেপিকে তাড়াতে জোটবদ্ধ হওয়া ১৮ দলের জোটে তৃণমূল ও সিপিএমের সহাবস্থান তাদের তীব্র সমালোচনা থেকে দূরে রাখছে? তবে কী ২০১৯-কে পাখির চোখ করে বিজেপি হঠানোই এখন দুই দলের প্রধান লক্ষ্য? প্রশ্ন তুলে দিল এদিনের পারস্পরিক সমালোচনার ধরণ।