বাংলার আকাশের উজ্জ্বল তারা মেঘে ঢাকা পড়েছিল সেই ১৯৭৬-এর ৬ ফেব্রুয়ারি। শুধু বাংলা নয়, বলা ভালো দুনিয়ার চলচ্চিত্র জগত ঐদিন হারিয়েছিল এক প্রবাদপ্রতিম পরিচালককে। কিংবদন্তী ঋত্বিক ঘটককে।
স্বামীকে হারানোর পর জীবনের অনেকগুলো দিন অন্দরমহলেই কাটিয়ে দিয়েছেন প্রয়াত পরিচালকের ধর্মপত্নী। এবার স্বামীর অনুবর্তিনী হলেন সুরমা ঘটক। মৃত্যুকালে ঋত্বিকপত্নী সুরমা ঘটকের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে। সেখানেই সোমবার রাত ১২টা ১৫ নাগাদ প্রয়াণ ঘটে সুরমাদেবীর।
মঙ্গলবার সকালে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় চেতলার সরকারি আবাসনে। এরপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ঋত্বিকের পাগলামি ও প্রতিভা দুই-ই আপন করে নিয়েছিলেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুরমা ঘটক। মন ও ধৈর্য দিয়ে তিনি সংসার সামলে গেছেন। আর ঋত্বিককে সংসারের দায়িত্ব থেকে ছুটি দিয়ে বৈপ্লবিক চর্চার অবকাশ দিয়েছিলেন।
জীবনে বহু কষ্ট সহ্য করেছিলেন সুরমা ঘটক। স্বামীকে হারানোর আঘাত পেয়েছিলেন অনেকদিন আগেই। দ্বিতীয় অসহনীয় আঘাত আসে গত বছর। কন্যা সংহিতা ঘটকের মৃত্যুর সংবাদে মন ও শরীর দুদিক থেকে ভেঙে পড়েন সুরমা ঘটক। সেই অসুস্থতা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। এদিন তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ছবি – সৌজন্যে – ফোটোজেনিক ডট কম